মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঈদের এক সপ্তাহ পর হিফজখানা খুলে দিন

– শায়েখ নেছার আহমাদ আন নাছিরী
ঈদ-উল-ফিতরের এক সপ্তাহ পর সাস্থ্যবিধি লক্ষ রেখে হিফজখানা খুলে দেওয়ার দাবী জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রাইভেট মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আন্তর্জাতিক হাফেজ গড়ার সফল কারিগর শায়েখ নেছার আহমাদ আন নাছিরী। তিনি বলেন- করোনা ভাইরাসের এই মহামারিতে শর্তসাপেক্ষে গার্মেন্টসসহ অনেক শিল্প-কলকারখানা ও হাটবাজার খোলা রয়েছে, তাহলে শর্তসাপেক্ষে কেন হিফজখানাগুলো খোলা দেওয়া হচ্ছেনা?আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদানের উদ্দেশ্য যাত্রার পূর্বে তিনি এই দাবী জানান।
প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, আপনি ভোর বেলায় কুরআন তিলাওয়াত দিয়ে আপনার কার্যক্রম শুরু করেন,তাই আমরাও চাই স্বাস্থ্যবিধি লক্ষ রেখে বাংলাদেশের সকল হিখজখানাগুলো খুলে দেওয়া হোক।
বিশ্বে কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে শায়েখ নেছার আহমাদ আন নাছিরী বলেন- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি জেনে আনন্দিত হবেন যে প্রতিবছর এই সমস্ত প্রাইভেট মাদরাসার ছাত্ররা বিশ্ব কুরআন প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন রাষ্ট্রে প্রথমস্থান অর্জন করে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকাকে উড্ডীন করে আসছে।
মাননীয় শেখ হাসিনা সরকারের উদ্যোগে কওমী মাদরাসার স্বীকৃতির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আপনি এ দেশের উলামায়ে কেরামদের প্রাণের দাবী, কওমী মাদরাসার আলেমদের স্বীকৃতি (সনদ) প্রদান করেছেন। আমরা আশাবাদি আপনি এদেশের হাফেজদের জন্য এই দাবি গুলো পুরন করবেন। এটাই আপনার নিকট আমাদের প্রত্যাশা। সুতরাং হিফজখানা গুলো দেশের কল্যানে দ্রুত খুলে দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।
অন্যান্য বক্তাগণ বলেন- দীর্ঘ সময় হিফজ মাদরাসা বন্ধ থাকিলে হাফেজ ছাত্ররা তাদের হিফজ চর্চা থেকে দুরে সরে হিফজ ভুলে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তাই ঈদ-উল-ফিতরের এক সপ্তাহ পর হিফজখানা খুলে দেওয়ার আহবান জানান।
এদিকে আজ দুপুর পৌনে ২টায় জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে একটি প্রতিনিধি দল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় তেজগাঁও, ঢাকায় একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপি গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র অফিসার জনাব নিজাম উদ্দিন।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্বারকলিপিতে এই বোর্ডের চেয়ারম্যান শায়েখ নেছার আহমাদ আন নাছিরীর কয়েকটি যৌক্তিক দাবির মধ্যে (১)ঈদুল ফিতরের এক সপ্তাহ পর যেন হিফজখানাগুলো খুলে দেওয়া হয়।
এময় উপস্থিত ছিলেন শায়েখ নেছার আহমাদ আন নাছিরী মুফতি মিজানুর রহমান, মুফতি শরীফুল্লাহ, মুফতি তাওহিদুল ইসলাম, হাফেজ কারী হেদায়েতুল্লাহ, মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান সহ কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বার্তা প্রেরক, মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, প্রচার ও মিডিয়া বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রাইভেট মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড