ক্ষমতাসীন দল তাদের দলীয় ক্যাডারদের ব্যাবহারের মাধ্যমে ভোট কারচুপি করে ক্ষমতায় এসেছে। একারণে দলের কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত দলীয় অধিকাংশ কর্মীরা দুর্নীতিগ্রস্থ। দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরে দুর্নীতি মহড়া চলছে, যা খুবই পরিতাপের বিষয়। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশ পাওয়া দুর্নীতিসমূহ কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ মেনে নিতে পারেনা। তারপরেও তারা আশ্চর্যজনকভাবে বিচারের আওতার বাইরে থেকে যাচ্ছে।১৪ সেপ্টেম্বর’১৯ইং শনিবার দুপুর ২টায় বরিশাল নগরীর ফজলুল হক এভিনিউতে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর ২৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত বিভাগীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই।
তিনি বলেন, সম্প্রতি খবরের কাগজে দেখতে পেলাম- খাগড়াছড়িতে ঘর মেরামতের কাজে একটি ঢেউটিনের দাম ধরা হয়েছে ১ লাখ টাকা। রেলওয়ের প্রকল্পে ক্লিনারের বেতন ধরা হয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রকল্পে ৪১ কর্মকর্তা পানি বিশুদ্ধকরণ প্রশিক্ষণের নামে আনন্দ ভ্রমণে গিয়েছেন উগান্ডায়। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের নামে এভাবে চলছে অনিয়ম ও দুর্নীতির ও মহোৎসব।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, শায়েখে চরমোনাই। তিনি বলেন, যখন এসএসসি পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮২.২০ শতাংশ এবং এইচএসসিতে পাসের হার ৭৩.৯৩ শতাংশ তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের র্যাংকিংয়ে এক হাজারের মধ্যেও যায়গা না পাওয়ায় আমরা খুবই হতাশ হয়েছি। দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার মান এত নিম্নস্তরে থাকায় এদেশের ছাত্র-জনতা ও সচেতন মহল শঙ্কিত। একই সাথে একটি দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে এবং শিক্ষার মানে সমুদ্রের তলদেশে অবস্থান করতে পারেনা। এটা সরকারের ব্যর্থতার বহিঃপ্রকাশ সুতরাং দেশে শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারকে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়ামের অন্যতম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, জামেয়া ইসলামিয়া মাহমূদিয়ার মুহতামীম ও হাতপাখার সাবেক বিসিসি মেয়র প্রার্থী হাফেজ মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহবুব, ইসলমী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক ও চরমোনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুফতী সৈয়দ এছহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়ের, ইশা ছাত্র আন্দোলন-এর সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ খলিলুর রহমান ও মাওলানা নূরুল ইসলাম আল-আমিন।
ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক এম. হাছিবুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব একেএম আব্দুজ্জাহের আরেফীর সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শেখ ফজলুল করীম মারুফ বলেন, নৈতিকতাবিবর্জিত সনদমূখী শিক্ষার কারণে দেশে দুর্নীতি বেড়ে চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজগুলোতে গ্রহণযোগ্য ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়ায় ক্যাম্পাসগুলো থেকে যোগ্য নেতৃত্ব উঠে আসছেনা। ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতির নামে পেশীশক্তি ব্যবহার করার কারণে ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ ব্যহত হচ্ছে। অপরদিকে বেকারত্বের বোঝা দিনকেদিন জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসকল অসঙ্গতি থেকে নিষ্কৃতি পেতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
সমাবেশে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রচার ও যোগাযোগ কে.এম.শরীয়াতুল্লাহ, অর্থ ও কল্যাণ সম্পাদক গাজী মুহাম্মাদ ওসমান গণী, সদস্য মুহাম্মাদ ইবরাহীম হুসাইন, বরিশাল জেলা সভাপতি আরমান হোসাইন রিয়াদ, মহানগর সভাপতি এস.এম.ছাব্বির রহমান সহ বরিশাল বিভাগের আওতাধীন জেলা শাখার সভাপতিবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
বার্তা প্রেরক – কে.এম.শরীয়াতুল্লাহ, কেন্দ্রীয় প্রচার ও যোগাযোগ সম্পাদক, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন