ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেছেন, প্রভাবশালী সংঘবদ্ধ চক্রের কারণে এবার ‘গরিবের হক’ কোরবানির পশুর চামড়ার বাজারে বড় ধস নেমেছে। বাড়তি মুনাফার লোভে ট্যানারির মালিকদের বেশির ভাগই সিন্ডিকেট করে কোরবানির পশুর চামড়া কিনছে না। অল্প যা বিক্রি হয়েছে তা সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে অনেক কমে, নামমাত্র মূল্যে। এতে চামড়া সংগ্রহকারীরা বিপাকে পড়েছে। সরকার যতই বলুক সিন্ডিকেট, কিন্তু সরকার কোনভাবেই এর দায় এড়াতে পারবে না। তিনি বলেন, চামড়া পচে যাচ্ছে। দুর্গন্ধে নিরুপায় হয়ে অনেকে সংগৃহীত চামড়া রাস্তায় বা নদীতে ফেলে দিচ্ছে। মাটির নিচেও পুঁতে ফেলছে অনেকে। কেবলমাত্র চট্টগ্রামেই ৮ কোটি টাকার চামড়া নষ্ট হয়েছে। সরকার সিন্ডিকেট করে চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করে দেশের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি করেছে। অপরদিকে গরীব, দুঃখী ও এতিমদের হক নষ্ট করেছে। তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে চামড়ার মূল্য যখন অনেক বেশি তখন বাংলাদেশে চামড়ার ন্যায্য মূল্য না দিয়ে গরীব, দুঃখী ও মাদরাসার এতিমদের বঞ্চিত করে জঘন্য খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সরকার চামড়ার মূল্য প্রতি ফুট ৫০ টাকা নির্ধারণ করলেও এই দরে কোন ট্যানারীর মালিক চামড়া কিনেনি। কিন্তু ঈদের দিন মাদরাসার এতিমখানাসহ সারাদেশের গরীব মানুষের হক পশুর চামড়ার মূল্য নামে মাত্র টাকায় কিনছে ব্যবসায়ীরা। ইতিহাসে এমন নজীর নেই। সরকার সিন্ডিকেট করে কওমী মাদরাসাকে ধ্বংস করছে এবং চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করে দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বানানোর জন্য কাজ করছে। আমরা সরকারের এহেন কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
আজ বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, শ্রমিক আন্দোলন নেতা শহিদুল ইসলাম কবির, শিক্ষকনেতা অধ্যাপক নাসির উদ্দিন প্রমূখ।
কর্মসূচি : চামড়া শিল্প ধ্বংসের প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব চত্ত¡রে আগামী ১৭ আগস্ট শনিবার বিকাল ৩টায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে। – প্রেস বিজ্ঞপ্তি