ভারতের উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের সমর্থনে দিল্লীর মুসলমানদের উপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ, মসজিদে অগ্নি সংযোগের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জ্ঞাপন করেছে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দ। আজ দুপুর ৩.০০টায় দলের পল্টনন্থ প্রধান কার্যালয়ে দলীয় নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, দিল্লী আর গুজরাটের দাঙ্গার ধরনের সামঞ্জস্যতা আর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নীরব দর্শক হয়ে থাকাই প্রমাণ করে যে ঘটনার পেছনে ক্ষমতাসীন বিজেপির সমর্থন আছে। এর মাধ্যমে পরিকল্পিত ভাবে ভারত থেকে মুসলমান বিতাড়নের প্রেক্ষাপট তৈরি করা হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সশরীরে উপস্থিত থাকার পরেও দিল্লীর এ ন্যক্কারজনক ঘটনার বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য না করায় বিশ্ববাসী হতবাক হয়েছে। এ ঘটনা শুধু উপমহাদেশকেই নয় বরং গোটা মুসলিম বিশ্বকে অস্থিতিশীল করে তোলার এক ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র হতে পারে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে ধারাবাহিকভাবে কাশ্মীর ইস্যু, সিএএ, এনআরসির পর দিল্লীতে মুসলমানদের উপর গণহত্যা একই সুতায় গাথা। মুসলমানদের টার্গেট করে বারংবার এ ধরনের ঘটনা, ৪৭সালে মুসলিম লীগ কর্তৃক ভারত বিভক্ত করে মুসলমানদের আলাদা ভূখণ্ডের অপরিহার্যতা প্রমাণ করেছে। তৎকালীন সময়ে শের-এ-বাংলা এ.কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানদের দেশবিভক্তির সাহসী ও দূরদর্শী সিদ্ধান্তই আজ বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মুসলমানদের এ রকম নিপীড়ন থেকে স্থায়ীভাবে মুক্তি দিয়েছে। নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের মুসলমানদের ধৈর্য ও শান্তির সাথে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের আহবান জানিয়েছেন।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, স্থায়ী কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, অতিঃ মহাসচিব আকবর হোসেন পাঠান, কাজী এ.এ কাফী, সাংগঠনিক সম্পাদক খান আসাদ, দফতর সম্পাদক খোন্দকার জিল্লুর রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলাম, ইঞ্জিঃ ওসমান গনি প্রমুখ।
সংবাদ প্রেরক, কাজী এ.এ কাফী, অতিঃ মহাসচিব।