খান এ সবুরের অবদান ইতিহাসের উজ্জ্বল অধ্যায় -মুসলিম লীগ

ব্রিটিশ শাসনাধীন বাংলার পশ্চাৎপদ ও বঞ্চিত মুসলমানদের মনে জাতিসত্তার চেতনার রাজনীতি যারা সৃষ্টি করেছিলেন তাদের মধ্যে খান এ সবুর ছিলেন অন্যতম। শালীন ও শিষ্টাচারের রাজনীতির ধারক খান এ সবুর উপমহাদেশ বিভক্তির পরও ভারতের সাথে যুক্ত থাকা বৃহত্তর খুলনা জেলাকে১৯৪৭ সালের ১৭ই আগস্ট বাউন্ডারি কমিশনে আপিলের মাধ্যমে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের সাথে যুক্ত করেন, ফলশ্রুতিতে যা পরবর্তীতে বাংলাদেশের অংশ হয়েছে। তদানীন্তন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সংসদ নেতা, অঘোষিত প্রধানমন্ত্রী খান এ সবুর খালিশপুর ও দৌলতপুর সহ পশ্চাদপৎ বৃহত্তর খুলনাকে শিল্পাঞ্চলে পরিণত করার মাধ্যমে শিল্প বিপ্লবের সূচনা করেন। ১৯৬৯সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থার বিস্ময়কর উন্নতি সাধন করেন। তার অবদানের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ খুলনাবাসী ১৯৭৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুসলিম লীগ সভাপতি খান এ সবুরকে তিনটি আসন থেকে নির্বাচিত করেন। অথচ রাজনৈতিক মত ভিন্নতার কারণে আজ কিংবদন্তীতুল্য এই রকম জাতীয় নেতাদের অবদানকে আমরা স্বীকৃতি দিতে কুণ্ঠাবোধ করি। এই রাজনৈতিক সংস্কৃতি থেকে অবশ্যই সকলকে বেরিয়ে আসতে হবে, নাহয় ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করবে না।
তদানীন্তন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের লিডার অব দি হাউজ, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ পুনর্গঠনের মহানায়ক, উপমহাদেশের কিংবদন্তী পার্লামেন্টারিয়ান খান এ সবুরের ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আজ বাদ যোহর বাংলাদেশ মুসলিম লীগের উদ্যোগে দলীয় প্রধান কার্যালয়ে দলের নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদারের সভাপতিত্বে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে দলীয় নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত মন্তব্য করেন। আরও উপস্থিত ছিলেন দলীয় মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, স্থায়ী কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, সহ সভাপতি নজরুল ইসলাম, অতি: মহাসচিব আকবর হোসেন পাঠান, কাজী এ.এ কাফী, সাংগঠনিক সম্পাদক খান আসাদ, কেন্দ্রীয় নেতা প্রকৌশলী ওসমান গনী, এড. হাবিবুর রহমান, আব্দুল খালেক, মোঃ নুর আলম, জান্নাতুল মাওয়া প্রমুখ। – প্রেস বিজ্ঞপ্তি
সংবাদ প্রেরক, কাজী এ.এ কাফী, অতিঃ মহাসচিব