ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম খোমেইনীর ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ১ জুন শুক্রবার রাজধানী ঢাকায় এক সেমিনারে বক্তারা বলেন ইরানে প্রতিষ্ঠিত আদর্শ ভিত্তিক গনতন্ত্র তাঁকে চিরস্মরণীয় করে রাখবে। ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কনভেনশন হল ৭১ এ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে ‘মুসলিম উম্মাহর পুনর্জাগরণে ইমাম খোমেইনীর (র.) চিন্তা-দর্শনের প্রভাব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. এম শমসের আলী, প্রফেসর এমিরিটাস, সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের রাষ্ট্রদূত ড. আব্বাস ভায়েজী দেহনাভী। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিনিয়র সাংবাদিক ও গ্রীনওয়াচ ঢাকার সম্পাদক জনাব মোস্তফা কামাল মজুমদার।আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ হুজ্জাতুল ইসলাম মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন খান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপকমোহাম্মদ রাশেদ আলম ভূঁইয়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ মূসা হোসেইনী।
মোস্তফা কামাল মজুমদার তার প্রবন্ধে বলেন পুঁজীবাদি বস্তুবাদ ও সমাজবাদি বস্তুবাদের দ্বন্দের মাঝে ইমাম খোমেনি একটা আদর্শবাদি রাষ্ট্র ও সমাজ নির্মান করে সফল হয়েছেন। তিনি বলেন একজন ধর্মীয় নেতা সাংবিধানিক ভাবে সুপ্রিম নেতা এবং গাইড হিসেবে স্বীকৃত থাকলেও ইরানে জনগনের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি এবং পার্লামেন্ট নিজস্ব গন্ডিতে অনেক স্বাধীনতা ভোগ করেন। সমালোচকদের ভুল প্রমানিত করে ইমাম খোমেইনী ইরানে ইসলামী ব্যবস্থায় জনগনের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে ড. এম শমসের আলী বলেন, মুসলমানরা ব্যক্তিগত ধর্মীয় আচারে নিয়োজিত থাকার পাশাপাশি তাদের মধ্যে যদি সমাজের সেবার দিকটি অনুপস্থিত থাকে তবে সেটি যথাযথ বিষয় হতে পারে না। যে সমাজে অর্থনৈতিক ন্যায়পরায়নতা নেই, সামাজিক সাম্য নেই সেটি উন্নত সমাজ হতে পারে না। কিছু সংখ্যক মানুষের সুবিধা ব্যাপ্তি নয়, সকলের জন্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত না হলে সেই সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠা হয় না। ইমাম খোমেইনী (র.) এমনই একটি সমাজ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছেন। জ্ঞান-বিজ্ঞানকে তিনি মানবের সেবায় নিয়োজিত করার কথা বলেছেন, যেটাকে ইসলামি বিজ্ঞান বলা হয়েছে। নানা কারণে ইরানের ওপর অবরোধ দেশটিকে আরো শক্তিশালী করেছে। বিজ্ঞানের সকল ক্ষেত্রে ইরান বিশ্বমানে উপনীত হয়েছে।