চামড়া শিল্প ধ্বংসে সিন্ডিকেট কাজ করছে -মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করিম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম শায়খে চরমোনাই চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করে দেশের অর্থনীতিকে ভয়াবহ ক্ষতির মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন। আজ এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, চামড়ার মূল্য বর্গফুট হিসেবে নির্ধারণ করে দেয়া হলেও সেভাবে কেউ চামড়া কিনছে না। চামড়ার মূল্য বর্গফুট মূল্য হিসেবে বিক্রয় কার্যকর থাকলে চামড়া নিয়ে সিন্ডিকেট কাজ করতে পারবে না। তিনি চামড়া শিল্পকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে সকলকে সোচ্ছার হওয়ার আহŸান জানান।মুফতি ফয়জুল করিম বলেন, ভারতের চামড়া শিল্পের বাজার বহুলাংশে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের চামড়ার উপর নির্ভরশীল। পাকিস্তান ভারতের সাথে ব্যবসা বন্ধ করে দেয়ায়, এ বছর ভারতকে বাংলাদেশের চামড়ার উপর অধিক নির্ভরশীল হতে হবে। ফলে বাজার চাহিদানুযায়ী চামড়ার দাম ভাল পাওয়ার কথা। কিন্তু এ বছর ঘটেছে সম্পূর্ণ উল্টো। একসময় ৫০০ টাকায় একটি ভালমানের দেশী চামড়ার জুতা পাওয়া যেত, তখন কুরবানীর গরুর চামড়া ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হতো। এখন ভাল মানের চামড়ার দেশী জুতা ৭/৮ হাজার টাকার নিচে পাওয়া যায় না। কিন্তু এখন গরুর চামড়া ২০-২০০ টাকায় নেমে এসেছে। এতে অনেকেই ক্ষুদ্ধ হয়ে চামড়া পুঁতে, পুড়িয়ে বা নদীতে ফেলে দিয়েছেন এমন ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল। এই প্রবণতা জনপ্রিয় হলে কার কি হবে জানিনা, তবে বাংলাদেশের চামড়া শিল্প ধংস হবে এবং বিদেশী কোম্পানীর পোয়াবারো হবে। কিন্তু কেন এমন হলো- এমন প্রশ্নের জবাবে অধিকাংশের উত্তর, সিন্ডিকেট। আমি বিষয়টাকে একটু অন্যভাবে দেখি যাতে রাজনীতি ও ষড়যন্ত্র রয়েছে, মুনাফাখোরি তো বটেই।
তিনি আরও বলেন, বায়াররা চামড়া ক্রয় করতে আসেননা। হাজারীবাগ থেকে ট্যানারী স্থানান্তরের বিষয়ে ট্যানারী মালিকদের সাথে কোন পরামর্শ না হওয়ায় এবং কোনরূপ পরিবেশও সৃষ্টি না করে ট্যানারী সাভার স্থানান্তর করায় ট্যানারী মালিকরা এ ব্যবসার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। তিনি বলেন, গতবছরের কাঁচা চামড়া এখনও রয়ে গেছে, এব্যাপারে সরকার কোন কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি। ব্যাংক লোন পর্যাপ্ত দেয়া হয়নি এবং বন্ধ ট্যানারী চালুর ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে উৎসাহ দেয়া হয়নি। পরিকল্পিতভাবে ট্যানারী মালিকরা চামড়া না কেনার কারণে বিশাল সম্ভাবনাময় চামড়া শিল্প ধ্বংসের পথে। তিনি বলেন, এর আগে পাটশিল্প ধ্বংস হয়ে গেছে। গার্মেন্টস শিল্পও ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এভাবেই সকল শিল্প ধ্বংস হয়ে অর্থনৈতিকভাবে দেশপড়ছে। তাছাড়া চামড়া শিল্পের সাথে দেশের একটি বিশাল জনগোষ্ঠীসমৃদ্ধ কওমী শিক্ষা ব্যবস্থাও জড়িত। চামড়া শিল্প ধ্বংস হলে এর প্রভাব কওমী মাদরাসাগুলোতেও পড়বে। চামড়া গরীব ও এতিমের হক্ব। এ শিল্পকে ধ্বংস করে গরীব ও মিসকিনদের হক্বও নষ্ট করা হচ্ছে। চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করতে সিন্ডিকেটভিত্তিক কাজ চলছে। এ সিন্ডিকেটকে ভেঙ্গে দিতে হবে।
গরীব, বঞ্চিত ও অসহায়দের মাঝে ইসলামী আন্দোলনের কুরবানীর গোস্ত বিতরণ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে মহানগরীর সকল থানায় গরীব, বঞ্চিত ও অসহায়দের মাঝে কুরবানীর গোস্ত বিতরণ করা হয়। কুরবানী ঈদের দিন বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গোস্ত বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেনদলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান। সংগঠনের ঢাকা দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বিতরণ কর্মসূচিততে উপস্থিত ছিলেন নগর সেক্রেটারী মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, শ্রমিকনেতা শাহাদাত হোসেন প্রধানিয়া। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে প্রায় তিন হাজারপরিবারের মধ্যে গোস্ত বিতরণ করা হয়।
এছাড়াও চকবাজার, লালবাগ, কামরাঙ্গীরচর, ডেমরা, যাত্রাবাড়ী, পল্টন, শাহবাগ, মতিঝিল, শাহজাহানপুর, খিলগাঁও, কোতয়ালী, সূত্রাপুর, বংশাল, মুগদা, যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুর, কদমতলী, হাজারীবাগ, নিউমার্কেট, ধানমন্ডি, সবুজবাগ, ওয়ারী, গেন্ডারিয়া, ডেমরা, কলাবাগানথানার কুরবানী বঞ্চিতদের মাঝে কুরবানীর গোস্ত বিতরণ করা হয়। – প্রেস বিজ্ঞপ্তি