ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করে নয় বরং আদর্শিক উন্নয়ন ঘটাতে হবে

দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে ছাত্রদের নৈতিকতার উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব নয় বরং আদর্শিক শিক্ষার মাধ্যমে সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া বর্বরোচিত হত্যাকান্ড থেকে চিরমুক্তি পাওয়া সম্ভব। বাবা-মা স্বপ্ন দেখেন তাদের সন্তান উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হবে, দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করবে। কিন্তু আমরা দেখতে পাই তাদের স্বপ্ন কফিনে করে বাবার কাঁধ ভারি করে তুলেছে। জাতীয় শিক্ষক ফোরাম এর “বিশ্বায়নের যুগে ছাত্র -শিক্ষক সম্পর্ক” শীর্ষক সেমিনারে অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান এর সভাপতিত্বে সেক্রেটারি জেনারেল এ বি এম জাকারিয়া এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির আলোচনায় ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ এর সিনিয়র নায়েবে আমির হযরত মাও. মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম উপর্যুক্ত কথা বলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ এর মহাসচিব হাফেজ মাও. অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমদ বলেন, বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পড়া-লেখার পরিবেশ নষ্ট করেছে ছাত্র নামের একদল সন্ত্রাসী বাহিনী। ওদের মদদ দিচ্ছে সরকার দলীয় লিডাররা। বাবা-মা সন্তানের লাশ বহন করতে চায়না। তারা চায় তাদের সন্তান মানুষের মত মানুষ হয়ে দেশ ও জাতীর খেদমত করুক।
সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর আইন বিভাগের সাবেক বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মাইমুল আহসান খাঁন। তিনি বলেন, দেশে দলীয় রাজনীতি সৃষ্ট ‘দায়মুুক্তির সংস্কৃতি’ আমাদের আরো বর্বর অসভ্য করেছে।
আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর উর্দু বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাও. হুসাইনুল বান্না, ইস্ট- ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি এর গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান রাইহান, বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি এর সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান মুহাম্মদ আব্দুর রকিব।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন, ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক নাসির উদ্দীন খান, সহ-সভাপতি মুফতী দেলোয়ার হোসেন সাকী, প্রিন্সিপাল সুলতান মাহমুদ, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল প্রভাষক আব্দুস সবুর, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাক্ষ মাও. ওয়ালিউল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহা. হুমায়ুন কবির, প্রচার সম্পাদক মুহা. আব্দুল হান্নান, দপ্তর সম্পাদক মুহা. মুস্তফা বাঙালী, সহ-দফতর সম্পাদক মুহা. মহিউদ্দিনসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
সেমিনারে উল্লেখিত প্রস্তাব সমুহ গৃহীত হয়ঃ
১। মেধাবীদের শিক্ষকতায় আগ্রহী করার জন্য শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি পুরণ করা।
২। বিশ^বিদ্যালয়গুলোতে রাজনৈতিক বিবেচনায় শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ করা।
৩। বিশ^বিদ্যালয়গুলোতে র্যাগিং এর নামে জুনিয়রদের উপর মানবতা বিরোধী কর্মকান্ড বন্ধ করা।
৪। শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে সর্বস্থরে ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা।
৫। শিক্ষাঙ্গণকে সন্ত্রাস মুক্ত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৬। তিন মাস পর পর বিশ^বিদ্যালয় ও কলেজের হলগুলোতে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করা।
৭। ছাত্র -শিক্ষক সম্পর্ক উন্নয়নে দলীয় লেজুড়বৃত্তি বন্ধ করা।
বার্তাপ্রেরক – আহমদ আবদুল কাইয়ূম, প্রচার সম্পাদক