টিআরপি নির্ধারণ এবং বিদেশি চ্যানেলের ক্লিনফিড পেতে সহায়তায় প্রস্তুত

ঢাকা, ১ ফেব্রুয়ারি – টিআরপি নির্ধারণ এবং বিদেশি চ্যানেলের ক্লিনফিড পেতে কারিগরি সহায়তায় বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড-বিএসসিএল প্রস্তুত রয়েছে, বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ।আজ রাজধানীর বাংলা মোটরে কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউয়ে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) এর কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী একথা বলেন। বিএসসিএল এর চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, পরিচালক অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মিজান-উল-আলম-সহ সংস্থাটির কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে একটি বা দু’টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যারা টিআরপি নির্ধারণ করে তাদের প্রক্রিয়ায় অনেক নমুনা সংগ্রহের কথা বলা হলেও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কোম্পানি জানিয়েছে যে তারা মাত্র ১৬৪টি নমুনা সংগ্রহ করে সেখান থেকে টিআরপি দেয়, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
বাংলাদেশের জনসংখ্যার নিরিখে কমপক্ষে ১০ হাজার নমুনা চলমানভাবে নিয়ে কাজ করলেই প্রকৃত চিত্রটা পাওয়া যাবে, অন্যথায় পাওয়া যাবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, ভারতে ৭০ থেকে ৮০ হাজার নমুনা ‘কন্টিনিউয়াসলি কালেকশন’ করা হয় এবং সেভাবেই টিআরপি দেয়া হয়। সেখানে সরকারের আওতাভুক্ত একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কয়েকটি সংযুক্ত সংস্থার মাধ্যমে টিআরপি নির্ধারণ করা হয়।
ড. হাছান বলেন, ‘আমাদের দেশে এখন যে অবৈজ্ঞানিক ও ভৌতিক পদ্ধতিতে টিআরপি দেয়া হচ্ছে, সেখানে আমরা স্বচ্ছতা আনার চেষ্টা করছি। সেজন্য ইতিমধ্যেই একটা কমিটি হয়েছে, কমিটি বেশ কয়েকটা বৈঠক করেছে। আমরা খুব সহসা সমাধানে পৌঁছাবো এবং বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কোম্পানি এব্যাপারে সম্পূর্ণ টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিতে প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছে। কিভাবে ১০ হাজার স্যাম্পল কন্টিনিউয়াসলি কালেকশন করা যায় সেইকারিগরি সহায়তা দিতে তাদের প্রস্তুতি আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের খবর। সুতরাং এব্যাপারে আমরা খুব সহসা একটা সমাধানে পৌঁছাতে পারবো বলে আশা করছি।’
মন্ত্রী এ সময় বিদেশি চ্যানেলের ক্লিনফিড বাস্তবায়নের বিষয়ে বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, আমাদের দেশের আইন অনুযায়ী বিদেশি চ্যানেলগুলো কোনো ধরনের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতে পারে না। বিদেশি চ্যানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশি বিজ্ঞাপন প্রদর্শন আমরা বন্ধ করেছি। কিন্তু বিদেশের পণ্যের বিজ্ঞাপন এখনো প্রদর্শিত হচ্ছে। আইন কিন্তু সেটাকেও অনুমোদন করে না। এটা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে কাজ চলছে। আজকে বিএসসিএল জানালো, তারা প্রয়োজনে ক্লিনফিড তৈরি করে দিতে পারবে যদিও এ দায়িত্ব যারা লাইসেন্স নিয়েছে তাদেরই। বাংলাদেশে প্রদর্শনের জন্য যারা লাইসেন্স নিয়েছে সেই সংশ্লিষ্ট চ্যানেলের দায়িত্ব হচ্ছে এদেশের আইন অনুসরণ করে ক্লিনফিড পাঠানো বা ক্লিনফিড সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা।’- তথ্যবিবরণী