‘ডেঙ্গুকে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করে জনগণকে নিয়ে মোকাবেলা করুন’

১৯৭৬ সালের ৮ই আগস্ট বাংলাদেশে মুসলিম লীগের পুনর্গঠন কালীন সময়ে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ছিল টালমাটাল-ঘোলাটে। খান-এ-সবুর, কাজী কাদের, এম.এ মতিন, জমির আলী, এ.এন.এম ইউসুফদের মত পরিক্ষীত-জননন্দিত মুসলিম লীগাররা ব্যক্তিগত ক্ষমতার অভিলাসে রাজনীতি করতে চাইলে অন্য দলে যোগ দিয়ে ইচ্ছে করলেই এম.পি-মন্ত্রী হতে পারতেন। পরবর্তীতে মুসলিম লীগেরই অনেক নেতাকর্মী ক্ষমতার মোহে অন্য দলে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এম.পি হয়েছিলেন। আদর্শিক মুসলিম লীগাররা তা করেননি বরং আগ্রাসন আর আধিপত্য-বাদীদের মোকাবেলায় মুসলিম জাতিসত্তার চেতনায় উজ্জীবিত ঐক্যবদ্ধ জাতি তৈরির মানসে খান-এ-সবুরের নেতৃত্বে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ পুনর্গঠনের ডাক দিয়েছিলেন। আজ (৩রা আগস্ট) বেলা ১১টায় বাংলাদেশ মুসলিম লীগের উদ্যোগে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদারের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের ৪৩তম পুনর্গঠন বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত মন্তব্য করেন। আরও উপস্থিত ছিলেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, অতি: মহাসচিব আকবর হোসেন পাঠান, কাজী এ.এ কাফী, সাংগঠনিক সম্পাদক খান আসাদ, কেন্দ্রীয় নেতা এড. হাবিবুর রহমান, খোন্দকার জিল্লুর রহমান, এড. এম এ আউয়াল, এড. আফতাব হোসেন মোল্লা, মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া, মোঃ শফিকু্লৃ ইসলাম, মোঃ নূরআলম, কাওছার আহমেদ প্রমুখ।
আলোচনায় নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, চারদিকে গুজবের ছড়াছড়ি। ধর্ষণের মত ঘৃণ্য অপরাধের মাত্রা আশংকাজনক হারে বেড়ে যাওয়ার গুজব, বিভিন্ন অজুহাতে প্রকাশ্যে পিটিয়ে-কুপিয়ে মানুষ হত্যা করার গুজব, শেয়ার বাজার থেকে ২৭হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে যাওয়ার গুজব, হাসপাতালগুলো ডেঙ্গু রোগীদের ভিড়ে ঠাই নাই-ঠাই নাই অবস্থার গুজব। এত গুজবে কান পাতা দায়। সবকিছুকেই এরকম গুজব বলে উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে একসময় ভয়াবহ জাতীয় বিপর্যয় নেমে আসবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ডেঙ্গু মোকাবেলায় সরকার আজ সম্পূর্ন ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। ডেঙ্গু পরিস্থিতি মহামারী আকার ধারণ করার দ্বারপ্রান্তে আছে অথচ কর্তৃপক্ষ অকার্যকর মশার ঔষধের স্থলে নতুন কার্যকরী ঔষধ কবে আসবে তাই নিশ্চিত করে এখনো বলতে পারছেন না। দেশের প্রতিটি মানুষ আজ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার আর ইতিমধ্যে আক্রান্তরা মৃত্যুভয়ে আতঙ্কিত। ৫৭বছর আগে তৎকালীন মুসলিম লীগ সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাবিবুল্লাহ বাহার চৌধুরী যদি এমনকি বিমান থেকে মশার ঔষুধ ছিটিয়ে মশা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হন, ২০১৯ সালে বিজ্ঞান-প্রযুক্তি-অর্থনীতি ও উন্নতির চরম শিখরে অবস্থান করেও ডেঙ্গুবাহী এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সক্ষম না হওয়ার কারণ কি তা জাতি জানতে চায়। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করে শুধুমাত্র দল বা গোষ্ঠী নয় বরং দল-মতের ঊর্দ্ধে থেকে দেশের আপামর জনগণকে সাথে নিয়ে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলা করে মহামারী ঠেকানোর পদক্ষেপ নিতে সরকারের নিকট জোরালো দাবী জানান।
সংবাদ প্রেরক -কাজী এ.এ কাফী, অতিঃ মহাসচিব