পরোক্ষ ক্ষতি হতে রক্ষাঃ গাড়িচালকদের তামাকনিয়ন্ত্রণ প্রশিক্ষণ

Global Adult Tobacco Survey-2017 এর ফলাফলে দেখা যায়, গণপরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয় ৪৪% (২ কোটি ৫০ লক্ষ) (পুরুষ ৪৮%, নারী ৩৮.২%)। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে আইন সম্পর্কে সচেতনতা কম, তামাকজাত পণ্যের প্রচারনা, তামাকজাত দ্রব্যের সহজলভ্যতা এবং আইনের সঠিক ও যথাযথ বাস্তবায়ন নেই।রবিবার (২২ ডিসেম্বর), ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ (সংশোধিত-২০১৩) এর যথাযথ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) এর উদ্যোগে ও ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সহযোগিতায় রাজধানীস্থ জোয়ারসাহারা বাস ডিপো খিলক্ষেতের প্রশিক্ষণ কক্ষে “পেশাজীবি গাড়িচালকদের পেশাগত দক্ষতা ও সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ” অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত প্রশিক্ষণে পেশাদার গাড়ী চালকদের মাঝে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন ও স্বাস্থ্যক্ষতি বিষয়ক তথ্য চিত্র উপস্থাপন করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার অদূত রহমান। প্রায় শতাধিক পেশাদার গাড়ি চালকদের মাঝে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন ও স্বাস্থ্যক্ষতি বিষয়ক ধারণা প্রদান করা হয়।
তামাকের ফলে স্বাস্থ্য খাতে আর্থিক ব্যয় হ্রাসকরণ ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে প্রতিবন্ধকতা দূরীকরনের লক্ষ্যে ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারী ঢাকায় অনুষ্ঠিত দক্ষিণ এশীয় স্পীকার র্শীষক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের পূর্বেই বাংলাদেশ থেকে তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার নিমূলের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। – প্রেস বিজ্ঞপ্তি