পলাশী বিপর্যয় থেকে শিক্ষা না পাওয়া বিপদজনক হতে পারে -মুসলিম লীগ

২৩ জুন – বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উ-দ্দৌলা তার প্রধান সেনাপতি মীর জাফর ও তার সহযোগীদের বিশ্বাসঘাতকতায় ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর যুদ্ধে ইংরেজদের নিকট পরাজিত হয়েছিলেন। নিজ জন্মভূমি ও জাতির সাথে মীর জাফরদের এই মোনাফেকি দুইশত বছর দেশের স্বাধীনতা সূর্য অস্তমিত রেখেছিল। এই বিপর্যয় থেকে যারা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেনি কোন এক দুঃসময়ে তারাই নব্য মীরজাফরের ভূমিকায় আবারও দৃশ্যপটে আবির্ভূত হতে পারে বলে আশংকা করেছেন বাংলাদেশ মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দ। আজ দুপুর ০২.০০টায় ঐতিহাসিক পলাশী দিবস উপলক্ষে পল্টনস্থ দলীয় প্রধান কার্যালয়ে নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদারের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় নেতবৃন্দ উপরোক্ত মন্তব্য করেন। আরও বক্তব্য রাখেন দলীয় মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, প্রেসিডিয়াম সদস্য আতিকুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, অতিঃ মহাসচিব আকবর হোসেন পাঠান, কাজী এ.এ কাফী, সাংগঠনিক সম্পাদক খান আসাদ, কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার ওসমান গনী, নজরুল ইসলাম, মোঃ মামুন, নূরেআলম প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, তৎকালীন ব্রিটিশ বেনিয়া রবার্ট ক্লাইভের মত এখনো আগ্রাসনবাদীরা আমাদের জন্মভূমির দিকে লোলুপ শকুনের দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আর চক্রান্ত বাস্তবায়নের জন্য নব্য মীরজাফর, উমিচাঁদ, ঘষেটি বেগমদের খুঁজছে। অদ্ভুত একদলীয় গণতন্ত্র, নির্বাচনের নামে প্রহসন, বিরোধী মতানুসারীদের দমন-পীড়নের মত বিভিন্ন কারণে জাতি আজ দ্বিধা-বিভক্ত। ইংরেজদের দুইশত বছরের শাসনের মূলমন্ত্র ডিভাইড এণ্ড রুলের প্রেক্ষাপট আজ কোন কারণ ছাড়াই স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আছে। জাতিগত এই বিভক্তি কি কাকতালীয় না কারো সুগভীর চক্রান্ত ও দীর্ঘ পরিকল্পনার অংশ তা আমাদের বোধগম্য নয়। এ বিষয়ে পলাশী দিবস থেকে শিক্ষা নিয়ে জাতিকে সজাগ থাকতে হবে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে দলীয় মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের বলেন, আমাদের রাজনীতিবিদদের কর্মকাণ্ডই ঠিক করবে তারা ইতিহাসে নিন্দিত হবেন নাকি নন্দিত হবেন। তিনি জাতীয় ঐক্যের ক্ষেত্র তৈরি করতে বিরোধী দলীয় নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের নিকট আহবান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে আব্দুল আজিজ হাওলাদার বলেন পলাশী দিবস ইতিহাসের এক কলঙ্কিত দিন। মুসলিম জাতিসত্তার পুনর্জাগরণের মাধ্যমে বৃহত্তম জাতীয় ঐক্যের প্রেক্ষাপট তৈরি হোক আমাদের পলাশী দিবসের অঙ্গীকার।
সংবাদ প্রেরক, কাজী এ.এ কাফী, অতিরিক্ত মহাসচি