যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী বলছে যে তারা পাকিস্তানকে ৩০ কোটি ডলার অর্থ সাহায্য দেওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন বলছে, জঙ্গি গ্রুপগুলোকে মোকাবেলা করতে ইসলামাবাদ ব্যর্থ হওয়ায় এই অর্থ সাহায্য বাতিল করা হয়েছে। তারা বলছে, জঙ্গি মোকাবেলায় পাকিস্তান কার্যত কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি।
এর আগে, পাকিস্তান থেকে আরো ৫০ কোটি ডলারের একটি সাহায্য প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এর আগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন যে শত শত কোটি ডলার অর্থ সাহায্য দেওয়া সত্ত্বেও ইসলামাবাদ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে প্রতারণা করছে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র লে. কর্নেল কোন ফকনার বলেছেন, অন্যান্য আরো যেসব বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ‘জরুরী ভিত্তিতে অগ্রাধিকার’ দেওয়া দরকার এই অর্থ এখন সেসব খাতের পেছনে খরচ করা হবে।
তবে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার জন্যে মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন।
পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র হওয়া সত্ত্বেও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে কড়া অভিযোগ তুলেছে যে দেশটির ভেতরে যেসব সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান কার্যকর কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
এসব জঙ্গি গ্রুপের মধ্যে রয়েছে হাক্কানি নেটওয়ার্ক এবং আফগান তালেবান।
“সব সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যে আমরা পাকিস্তানের উপর আমাদের চাপ অব্যাহত রাখবো,” শনিবার এক বিবৃতিতে একথা বলেন কর্নেল ফকনার। তিনি বলেন, “এই অর্থ সাহায্য আগে স্থগিত করা হয়েছিল। এই অর্থ এখন অন্যত্র খরচ করা হবে।”
পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাথে বৈঠক করার জন্যে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর খুব শীঘ্রই ইসলামাবাদে যাওয়ার কথা রয়েছে। এবং তার এই সফরের আগেই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে অর্থ সাহায্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা ঘোষণা করা হলো।
এর আগে জানুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ঘোষণা করেছিল যে তারা পাকিস্তানকে নিরাপত্তা খাতে দেওয়া তাদের অর্থ সাহায্য কাটছাট করতে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা আরো অনেক দেশই পাকিস্তানের দিকে দীর্ঘদিন ধরে আঙ্গুল তুলে বলে আসছে যে পাকিস্তানের ভেতরে তৎপরত সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আফগানিস্তানের সীমান্ত পাড়ি দিয়ে তারা সেখানে হামলা পরিচালনা করছে।
কিন্তু ইসলামাবাদ এই অভিযোগ সবসময়ই প্রত্যাখ্যান করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে পাকিস্তান সরকার থেকে এখনও পর্যন্ত কোন মন্তব্য করা হয়নি।- বিবিসি