পানির দাম – ওয়াসার দুর্নীতি বন্ধ হলে পানির দাম বাড়াতে হবে না

ঢাকা ওয়াসা জনগণের সেবা নিশ্চিত না করে পানির দাম ৫ শতাংশ হারে বাড়িয়ে পানি নিয়ে বাণিজ্য শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। নেতৃদ্বয় অবিলম্বের জনগণের স্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। ওয়াসার পানির বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার এবং দুর্নীতি ও অনিয়ম অব্যবস্থাপনা বন্ধের দাবি জানান।আজ এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, ঢাকা ওয়াসা সেবার মান না বাড়িয়ে বারবার পানির দাম বাড়াতে ব্যস্ত। জনগণের জন্য সেবার মান আগে ফেরাতে হবে। ওয়াসার পানিতে দুর্গন্ধ পানি ব্যবহার করা যায় না। ওয়াসা এখন পানি নিয়ে বাণিজ্য করছে। করোনাকালে একটু পর পর হাত ধুতে বলা হচ্ছে, অথচ এই সময়ে এসে পানির দাম বাড়ানো হচ্ছে। শুধু দুর্নীতি বন্ধ হলেই কোনোভাবে পানির দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হতো না। পানি ছাড়া যেহেতু জীবন চলে না, তাই ওয়াসা পানির দামের মাধ্যমেই বাণিজ্যের পথ বেছে নিয়েছে। পানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, নগরবাসীকে নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানি দিতে পরিপূর্ণ ব্যর্থ ঢাকা ওয়াসা। পানির মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অনৈতিক ও জনবিরোধী। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ওয়াসার সরবরাহ করা পানি পান করা যায় না। সাধারণ মানুষের কথা না ভেবে ঢাকা ওয়াসা তাদের পানির দাম বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত কিভাবে নিতে পারে? তাদের সেবার মানে প্রায় সব গ্রাহক অসন্তুষ্ট, সেবার মান না বাড়িয়ে বছর বছর তারা পানির দাম বাড়িয়েই যাচ্ছে। পানির দাম বাড়ানোর ওয়াসার এই সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।
উল্লেখ্য যে, করোনার শুরুর দিকে গত বছরের এপ্রিলেও এক দফা পানির দাম বাড়িয়েছিল ঢাকা ওয়াসা। সে সময় প্রতি ইউনিটে দাম বাড়ানো হয়েছিল ২ টাকা ৮৯ পয়সা। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে যখন করোনা ফের খারাপ রূপ ধারণ করছে, সেসময়ে এসে ফের পানির দাম বাড়িয়ে জনগণের সাথে প্রতারণা করছে ওয়াসা। – প্রেস বিজ্ঞপ্তি