প্রতিবাদে সোচ্চার, ঐক্যবদ্ধ হতে হবে- মোসাদ্দেক বিল্লাহ মাদানী

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলান সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেছেন, সরকার জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে দেশে স্বৈরতান্ত্রিক শাসন কায়েম করে রেখেছে। সরকারের এই নাগরিক অধিকার কেড়ে নেয়ার প্রতিবাদে নতুন বছরে দেশপ্রেমিক জনতাকে প্রতিবাদে সোচ্চার ভুমিকা পালন করতে হবে। তিনি অতি সম্প্রতি বাম জোটের মিছিলে পুলিশ লাঠি চার্জ করে নেতাকর্মীদের আহত করায় কঠোর সমালোচনা করেন।মাদানী বলেন, সরকারের মধ্যে একটা রাজনৈতিক ভীতি কাজ করছে, যার কারণে জনগণের কোনো সভা, সমাবেশ, মিছিল, সব সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার বাধাগ্রস্ত করছে। সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
আজ বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলনের নির্বাচন ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ও মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী।
এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির এক সভা মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আলহাজ্ব আব্দুল আউয়ালের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, ডা. দেলাওয়ার হোসেন, আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন, মাওলানা আহমদ আব্দুল কাইয়ূম, মুফতী মোস্তফা কামাল, শহিদুল ইসলাম কবির, মুফতী মানসুর আহমদ সাকী, শহিদুল ইসলাম কবির, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
আলহাজ্ব আব্দুর রহমান বলেন, মানুষের মধ্যে নির্বাচনের যে আমেজ থাকা উচিত, আগ্রহ, উৎসাহ, উদ্দীপনা থাকা উচিত, তার ন্যূনতম নেই বললেই চলে। তিনি বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বর যে নির্বাচন হয়েছে, সে নির্বাচনের পরে দেশের নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো মানুষেরই ন্যূনতম আস্থা আছে বলে আমরা বিশ্বাস করি না। আমাদেরও সে আস্থা এখনও অর্জিত হয়নি। এখনও নির্বাচনের ন্যূনতম পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে মনে করি না। তিনি বলেন, বিগত নির্বাচনগুলোর মত নির্বাচন করায় খায়েশ থাকলে নির্বাচনের নামে কোন তামাশার প্রয়োজন নেই। গণভবন থেকে ঘোষণা দিয়ে দিন। মানুষের টাকা ফয়সা নষ্ট করার এখতিয়ার কারো নেই।
বার্তাপ্রেরক, আহমদ আবদুল কাইয়ূম, প্রচার সম্পাদক