প্রাইভেট ও সরকারি হাসপাতাল মিলেই করোনার ২য় ঢেউ সামলানো হবে

ঢাকা, ১৪ ২৯ নভেম্বর – স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশের প্রাইভেট ও সরকারি হাসপাতাল মিলে একযোগে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা করতে হবে। করোনার প্রথম পর্যায়ে দেশের প্রাইভেট হাসপাতালগুলোর মধ্য থেকে অন্তত ৭৫টি হাসপাতাল করোনা নিয়ে কোনো না কোনোভাবে কাজ করেছে। এদের মধ্যে ১৫টি হাসপাতাল ছিল কোভিড ডেডিকেটেড। এদের মাধ্যমে লাখ লাখ লোকের কর্মসংস্থান অব্যাহত ছিল।
করোনার এই দুঃসময়ে এই প্রাইভেট হাসপাতালগুলোর মাধ্যমে প্রায় ১২ হাজার কোভিড রোগীর চিকিৎসা দেয়া হয়েছে এবং লক্ষাধিক করোনা টেস্ট করা হয়েছে। এগুলো এই দুঃসময়ে দেশের মানুষের কাজে লেগেছে। আর, দেশের প্রাইভেট হাসপাতালগুলো যেভাবে সরকারের সাথে থেকে করোনার প্রথম পর্যায়ে কাজ করে গেছে দ্বিতীয় পর্যায়েও ঠিক সেভাবেই কাজ করবে। এর সাথে দেশের মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে করোনার দ্বিতীয় পর্বেও দেশের মানুষ এখনকার মতো করেই নিরাপদে থাকতে পারবে।
আজ রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের বলরুমে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল এসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত “করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা ও ভ্যাক্সিন বিষয়ে আলোচনা সভায়” প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মাস্ক ব্যবহারের উপর গুরুত্ব দিয়ে মন্ত্রী বলেন, “করোনায় মাস্ক ব্যবহার না করে মানুষ এখন টু মাচ কনফিডেণ্ট এটিটিউট দেখাচ্ছে যা কিছুটা চিন্তার কারণ হয়ে দেখা দিচ্ছে। এ কারণে সরকার এখন কঠোর অবস্থানে চলে যাচ্ছে। করোনা থেকে বাঁচতে হলে এখন মানুষের মুখে মাস্ক পড়ার বিকল্প কিছুই নেই।”
ভ্যাক্সিন আনা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনো কোনো দেশকেই ভ্যাক্সিন ব্যবহার করার অনুমোদন দেয়নি। তবে সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছে। যখনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বের কোথাও কাউকে ভ্যাক্সিন ব্যবহারে অনুমতি দিবে বাংলাদেশও সাথে সাথেই ভ্যাক্সিন পেয়ে যাবে।”
বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের সভাপতি মুবিন খানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের মহাসচিব আনোয়ার হোসেন খান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম-সহ দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহর থেকে আসা প্রাইভেট মেডিকেল হাসপাতালের পরিচালকবৃন্দ। – তথ্যবিবরণী