বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন কেন্দ্রীয় কাউন্সিল ২০১৯ অনুষ্ঠিত

ঢাকা ২৭ নভেম্বর বুধবার ২০১৯ – হযরত হাফেজ্জি হুজুর (রহঃ) এর প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল ২০১৯, ২৭শে নভেম্বর বুধবার দুপওে রাজধানীর পুরানা পল্টন্থ ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। দলের সিনিয়র নেতা আলহাজ্জ মোহাম্মদ আজম খানের সঞ্চালনায় উক্ত অধিবেশনে সংগঠনের আগামী ২০২০-২১ সালের ২ বছর মেয়াদী দলের কেন্দধীয় কার্য ̈কারী কমিটির খসড়া তালিকা পেশ করা হয়। উপি ̄’ত কাউন্সিলে সমর্থনে তা সর্বসম্মতভাবে পাশ করা হয়। গৃহীত তালিকা মোতাবেক হযরত মাওলান মুহাম্মদ জাফরুল্লাহ খান আমীরে শরীয়ত (আমীর) ও মাওলানা মহিব্বুল্লাহ ইবনে আহমাদুল্লাহ্ আশরাফ দলে মহাসবি হিসেবে পূননির্বাচন নির্বাচিত হয়। এরই সাথে আরো ৩৮জন নেতা বিভিন্ন সম্পাদকীয় পদে সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়। অর্থাৎ মোট ৪০ সদস ̈ বিশিষ্ট কেন্দধীয় কমিটি নির্বাচিত হয়।
নব নির্বাচিত আমীরে শরীয়ত আল্লামা মুহাম্মদ জাফরুল্লাহ খান তার নতুন নেত…ত্বে অভিষেক ভাষণে বলেন, দ্বীনি প্রতিষ্ঠান ̧লি কারো ব্যক্তিগত বা পারিবারিক সম্পদ নয়, এ ̧লো হচ্ছে উম্মতের সম্পদ, তাই এর পরিচালনা ব্যক্তিগত খেয়াল-খুশির পরিবর্তে আল্লাহর আইন ও রাসুল (সাঃ) এর আদর্শ মোতাবেক ও পরামর্শ ও সমঝোতার ভিত্তিতে পরিচালিত হবে ইনসাফের নীতিতে অগ্রসর হতে পারলে অচিরেই দেশে ইনসাফ তন্ত্র তথা খেলাফত কায়েম সম্ভব।
নায়েবে আমীর মাওলানা আবু জাফর কাসেমী বলেন, ইসলামী আন্দোলন হতে হবে শুধুমাত্র আল্লাহর রাজি-খুশিতে জনগণের খেদমতের জন্য ̈ রাজতন্ত্র, পারিবারিক তন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন ̈ নয়। তিনি আরো বলেন, হযরত হাফেজ্জী হুজুর (রহঃ) বলেন “খেলাফত আন্দোলনের দ্বারা আমাদেরও উদ্দেশ্য ̈ শুধু এটাই হওয়া উচিত যে আল্লাহর জমিনে তোর পেরিত আহকাম জারি করে আল্লাহ পাকের শ্রেষ্ঠ মাখলুক ইনসানকে শান্তি ও সুযোগ দান করা, আর এর মাধ ̈মে আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি ও রোজামন্দি হাসিল করে হুসনে খাতেমার সাথে দুনিয়া হতে বিদায়ের সৌভাগ ̈ লাভ করা।
মহাসচিব মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ ইবনে আহমাদুল্লাহ আশরাফ বলেন, খেলাফত চেতনার সরকার তথা ইসলামী হুকুমতের চিন্তা ও চরিত্র হচ্ছে আল্লাহর বান্দা সজনগণকে হাতে ধরে ধওে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাওয়া আর বিভিন্ন তন্ত্র-মন্ত্রেও প্রোগ্রাম হচ্ছে অধর্মের পথ প্রশ ̄Í কওে জনগণকে হাতে ধরে ধওে দোজকের দিকে ঠেলে দেওয়া।
সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব আলহাজ্ব মুহা. আজম খান বলেন” ইসলামী হুকুমতের প্রকৃত রুপ হচ্ছে খেলাফায়ে রাশেদার শাসন নীতি। খেলাফত না রাজতন্ত্র, না গণতন্ত্র। রাজতন্ত্র চলে রাজার মর্জিতে আর গণতন্ত্র চলে কথিত সংখ্যাগরিষ্ঠের মর্জিতে। কিন্তু খেলাফত চলে সকল ক্ষমতার উৎস সর্ব নিরপক্ষ আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের আইনে। অতএব, খেলাফত চেতনার সরকার হচ্ছে সর্ব নিরপক্ষ প্রকৃত ইনসাফগার সরকার।
জনসেবো আন্দোলনের আমীর মাওলানা ফকরুল ইসলাম বলেন, যেখানে আল্লাহর আইন ও ইনসাফ নাই, সেখানে জাতির মধে ̈ আত্মকলহ থাকবেই। আমাদের রাজনীতিতে এক দলকে আরেক দলকে পিষে ফেলতে চায়, এ রাজনীতিতে দেশে কখনো শান্তি আসবে না।
সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব ইবরাহিম খলিলি বলেন, দেশ ও জাতির এই সমুহ বিপদ থেকে মুক্ত করতে হলে অচিরেই বর্তমান ও সাবেক সরকারী দল সমূহের বিকল্প এক রাজনৈতিক শক্তির উত্থান ঘটাতে হবে, ইনসাফের বিপ্লব ঘটাতে হবে। এই দায়িত্ব পালনে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন এখন প্র ̄স্তুত।
প্রচার সম্পাদক আলহাজ্জ আলী মাকসুদ খান মামুন বলেন, বলেন আজ রোহিংগা, কাশ্মীরি ও ফিলিস্তিনিদের যে অবস্থা সেই অবস্থা আমাদের উপরে যেন না আসে তার জন্য ̈ নেক আমালে অভ্যস্ত হতে হবে, সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ জারি রাখতে হবে। এবং হাফেজ্জী হুজুর (রহঃ) এর আহ্বান, দুনিয়ার মুসলিম এক হও নেক হও প্রতিপাদ্যকে সমগ্র বিশ্বে পৌঁছে দিতে হবে।
অন্যান্য ̈দের মধে ̈ বক্তৃতা করেন, কেন্দ্রীয় নেতা হযরত মাওলানা আবু জাফর কাসেমী, কেন্দ্রীয় নেতা আবুল কাসেম কাসেমী, মাওলানা আব্দুল কাদের খাদেমুল ইসলামী, মাওলানা মুহাম্মদ হোসাইন আখন্দ, এনডিএর সভাপতি, জনাব আলমগীর মজুমদার, খাদেমুল ইসলামের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী, মাওলানা আজিজুর রহমান প্রমুখ।
বার্তা প্রেরক, আলহাজ্জ আলী মাকসুদ খান মামুন, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক