বাজেটে বটমলাইনিং মাতৃত্বকালীন ভাতা নবদিগন্তের সিংহদার উন্মোচিত হলো

২০১৮-১৯ অর্থ বছরের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে দরিদ্র মাদের জন্য ‘মাতৃত্বকালীন ভাতা’ ভোগীর সংখ্যা ৬ থেকে ৭ লাখ, পরিমান ৫শ থেকে ৮শ টাকা, দুই থেকে তিন বছরে উন্নিত করায় গরীব দরদী সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন দেশের সামাজিক সাংস্কৃতিক নেটওয়ার্কিং ও বেসরকারী সংস্থার প্রধানগণ। আজ রবিবার (১০ জুন) সম্মিলিত এক বিবৃতিতে গণস্বাক্ষরতা অভিয়ানের নির্বাহী প্রধান রাশেদা কে. চৌধুরী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, এনজিও ফেডারেশন-এফএনবি’র চেয়ার এস.এন. কৈরি, বাংলাদেশ মানবাধিকার সমন্বয় পরিষদ-বামাসপ’র সভাপতি প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, স্যানিটেশন ফর অল এর সিভিল সোসাইটির এশীয় প্রতিনিধি মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান, নুরিয়া সমাজ উন্নয়ন সংস্থার প্রধান, বেগম রোকেয়া পদক বিজয়ী মাজেদা শওকত আলী, সিমাভী ওয়াই প্রোগ্রামের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর অলোক মজুমদার, নারীপক্ষের সামিয়া আফরিন, মা স্বপ্ন ফাউন্ডেশন’র আজহার আলী তালুকদার, কবি-লেখক রোকেয়া ইসলাম, প্রতিবুদ্ধিজীবী’র নির্বাহী সম্পাদক শাওয়াল খান, ও মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রবর্তনকারী সংগঠন ডরপ’র প্রতিষ্ঠাতা এইএইচএম নোমান সরকারকে সাদর অভিনন্দন জানান।
বিবৃতিতে বলেন, ‘সামষ্টিক ও বৈষম্যহীনতার প্রত্যয়ে ‘সমৃদ্ধ আগামী পথযাত্রায় বাংলাদেশ’র স্বপ্নচারি অর্থমন্ত্রী বাজেটে ‘বটমলাইনিং মাতৃত্ব’কে কেন্দ্র করে ভাতা প্রদান সমাজে এক যুগান্তকারী নব দিগন্তের সিংহদ্বার উন্মোচিত হলো। যথার্থ নির্ণায়ক বিশিষ্ট যৌক্তিক ভাতা ভোগীর সংখ্যা আর না বাড়িয়ে ভাতার আর্থিক পরিমান বৃদ্ধি করাই অপাত্রে না যাওয়ার অন্যতম সুরক্ষা বেষ্টনি। ইতোমধ্যে ৭ উপজেলায় পাইলট আকারে জি টু পি ব্যাংকিং পদ্ধতি শুরু করেছে। এখন প্রয়োজন আমাদের সামগ্রীক উন্নয়নের বটমলাইন গরীব মা কেন্দ্রীক তিন বছর মেয়াদি ভাতাকে পর্যায়ক্রমে প্রাক-প্রাথমিক স্কুল ভর্তি অর্থাৎ ৫ বছর পর্যন্ত প্রদান এবং পাশাপাশি ভাতার পরিমান ৮শ টাকার স’লে ৩ হাজার টাকা করা’।
‘স্বয়ংক্রিয় ধারাবাহিক সুরক্ষার জন্য আরো প্রয়োজন মাতৃত্বকালীন ভাতা কেন্দ্রীক অভূতপূর্ব পরিক্ষীত সফল দেশজ স্বপ্ন প্যাকেজ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় পরিচালিত ১০ পাইলট উপজেলা থেকে সারা দেশে পর্যায়ক্রমে সম্প্রসারণ করা। তাহলেই বৈষম্যের লাগাম ধরে দক্ষ, স্বাস্থ্যবান, শিক্ষাবান, গৃহবান, কর্মসংস্থান সমৃদ্ধ জনশক্তি, টেকসইতার শেখড়ে উঠে ন্যায্যতায় পৌঁছতে জাতী সক্ষম হবে। পাবলিক পূয়র প্রাইভেট পার্টনারশীপ (পিপিপিপি) অংশিদারি চুক্তিতে স্বপ্ন প্যাকেজে স্বাস্থ্য কার্ড, শিক্ষা কার্ড, ল্যাট্রিনসহ একটি বসত ঘর, জীবীকায়ন উপকরণ হস্তান্তর, পরিবেশ, সঞ্চয় প্লাস রয়ছে। যাতে গরীবি হটাতে এসডিজি বাস্তবায়নে প্রস্ফুটিত শিশু, বিকশিত মা-পরিবার-সমাজ-দেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। এক কোটি মাকে টার্গেট করে এক প্রজন্ম ২০ বছর মেয়াদে প্রজন্ম প্রতিভা বিনির্মান হবে, প্রয়োজন মাত্র এক মা এক লাখ টাকা।
আ হ ম ফয়সল, ম্যানেজার, মিডিয়া, কমিউনিকেশন, ডরপ