বিশ্ব এইডস দিবস ২০২০পালিত

ঢাকা, ১ ডিসেম্বর – স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বিশ^ এইডস দিবস উপলক্ষে আজ বিশেষ বিবৃতিতে জানিয়েছেন, দেশ থেকে এইডস ২০৩০ সালের মধ্যে নির্মূল করার লক্ষ্যে কাজ করতে স্বাস্থ্যখাতের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেশ কিছু নির্দেশনা রয়েছে। স্বাস্থ্যখাত এসব নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে যখন এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, আমাদের দেশে এই সংখ্যা ক্রমশ হ্রাসমান রয়েছে। এই করোনা সময়েও এইডস রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে এবং সরকার এইডস রোগীদের সব ধরণের চিকিৎসা সেবা ও পরীক্ষা ব্যবস্থা বিনামূল্যে চালু রেখেছে। এর ফলে, দেশে এইডস-এর সংক্রমণ এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে দেশে ও আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। দিবসটিতে এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘সারা বিশ্বের ঐক্য, এইডস প্রতিরোধে সবাই নিব দায়িত্ব’। দিবসটি উপলক্ষে আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমি হলরুমে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মোঃ আবদুল মান্নান। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তফা কামাল, লাইন ডাইরেক্টর টিবিএল এন্ড এএসপি অধ্যাপক ডা. মোঃ শামিউল ইসলাম প্রমুখ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, করোনার প্রথম ঢেউ সামলাতে সক্ষম হয়েছি এবং দ্বিতীয় ঢেউ এলেও তেমন সমস্যা হবে না। সরকারি-বেসরকারি উভয় শক্তি মিলেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করা হবে। দেশের মানুষকেও একই সাথে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। – তথ্যবিবরণী
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টর এর উদ্যোগে বিশ্ব এইডস দিবস ২০২০পালিত
বিশ্বব্যাপী এইচআইভির এর ভয়াবহতা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, করোনা মহামারী কালিন সময়েও বিভিন্ন জাতি ও দেশ এইচআইভির সংক্রমে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।২০১৯ সালে এইচআইভিতে আক্রান্ত ছিল প্রায় ৩ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষ এবং নতুন করে আক্রান্ত হয় ১কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ।২০১৯ সালে এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় প্রায় ৬ লক্ষ ৯০ হাজার মানুষ।
অপরদিকে কোভিড-১৯ মহামারিকালিন সময়ে এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেশি। কারণ এসময়ে পর্যাপ্ত ঔষধের সরবরাহ না থাকায় এবং আর্থিকভাবে অস্বচ্ছলতা চিকিৎসাসেবা গ্রহনের বড় বাধা। ২০২০ সালে এইচআইভিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের এক তৃতীয়াংশ চিকিৎসাসেবা তথা ঔষধ পেতে বাধাপ্রাপ্ত হয়।
তাই এখনই সময় কোভিড-১৯ প্রতিরোধের পাশাপাশি এইচআইভি সংক্রমন রোধে আবারো একযোগে কাজ করতে হবে। কোভিড-১৯ এর কারণে সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতা ও এইচআইভি প্রতিরোধে বিশ্ব এইডস দিবস ২০২০ এ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা “বিশ্ব সংহতি” এর জন্য সকল নেতা ও নাগরিকদের একত্রিত হওয়ার আহবান জানিয়েছেন।
০১ ডিসেম্বর ২০২০ বিশ্ব এইডস দিবসের এবারের প্রতিবাদ্য “সারা বিশ্বের ঐক্য,এইডস প্রতিরোধে সবাই নিব দায়িত্ব” সারা বিশ্বসহ বাংলাদেশেও পালিত হয়েছে এ দিবসটি। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টর এর উদ্যোগে পালিত হয় বিশ্ব এইডস দিবস ২০২০।জাতীয় পর্যায়ে সরকারী নির্দেশনা অনুসরন করে দেশের অন্যান্য সংগঠনের সাথে একত্রিত হয়ে শাহবাগ মৎসভবন এর নিকটে শতাধিক সংগঠনের উপস্থিতিতে বর্নাঢ্য র্যালীতে অংশ গ্রহনের মধ্যে দিয়ে বিশ্ব এইডস দিবস ২০২০ পালিত হয়।উক্ত র্যালীতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরও অংশ নেয়। – প্রেস বিজ্ঞপ্তি