শুধু ধর্ষণ নয়, জেনা-ব্যাভিচারেরও শাস্তি কার্যকর করতে হবে

এই মুহূর্তে গোটা দেশে ধর্ষণ এক ভয়ংকর মহামারির রূপ ধারণ করেছে। এক শ্রেণীর কুলাঙ্গারেরা মা-বোনদের ইজ্জত-সম্ভ্রম প্রতিনিয়ত লুটে নিচ্ছে। এই কুলাঙ্গারদের দলীয় কোন পরিচয় থাকতে পারেনা। তারা মানবতার শত্রু।

অতি দ্রুত ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- কার্যকর করা না-হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। শুধু ধর্ষণের শাস্তি নয়, বরং জেনা-ব্যাভিচারেরও শাস্তি কার্যকর করতে হবে। গতকাল বাদ আসর জাতীয় মসজিদ বাইতুল মুকাররমের উত্তর গেইটে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের দ্রুত বিচার ও ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি
মৃত্যুদ-ের দাবীতে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ঢাকা মহানগর কর্তৃক আয়োজিত বিক্ষোভ-মিছিলপূর্ব সমাবেশে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর জমিয়তের সভাপতি মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীর সভাপতিত্বে এবং মহানগর জমিয়তের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতী বশীরুল হাসান খাদেমানীর পরিচালনায় উক্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মতিউর রহমান গাজিপুরী, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা জয়নুল আবেদীন, সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাহবুবুল আলম, মাওলানা হেদায়েতুল ইসলাম, মাওলানা নুরুল আলম ইসহাক্বী, মাওলানা হাফেজ ওমর আলী, মাওলানা হাসান আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী নূর মোহাম্মাদ ও মহানগর যুব জমিয়তের সভাপতি মুফতী সাইফুদ্দীন ইউসুফ ফাহীম প্রমূখ।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন এ দেশের মুক্তিযোদ্ধারা ধর্ষণের এই বাংলাদেশ দেখার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেননি। মানুষরূপী পশুদের এই হিং¯্রতা দেখার জন্য এই দেশ স্বাধীন হয়নি। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে আমার মা কিংবা আমার বোন ধর্ষিতা হয়নি, ধর্ষিত হয়েছে আমার স্বাধীনতা। তিনি মাননীয়
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন আপনি অতি দ্রুত এই ধর্ষকদেরকে থামান এবং তাদের উপর মৃত্যুদ-ের বিধান কার্যকর করুন। সাথে সাথে অশ্লীলতা ও উলঙ্গপনা সকল আয়োজনও বন্ধ করুন।
বার্তা প্রেরক – জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, ঢাকা মহানগর