সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

ক্লাব পাড়ায় জুয়া বানিজ্যে জাড়িতদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার মধ্য দিয়ে দেশে টেন্ডার বানিজ্য, চাঁদাবাজি, নদী দখল, লুটপাট, সাম্প্রদায়িকতাবাদী, নারী শিশু ধর্ষনের মতো বর্বরোচিত ঘটনা সমূহের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার যৌক্তিক দাবীসমূহ বাস্তবায়নের পথ সুগম হয়েছে বলে আমরা মনে করি। সারাদেশে মাদকের বিস্তার, সন্ত্রাসবাদ, দলবাজী, অবৈধ অস্ত্রের ঝঞ্জঝনানী ও জনাতঙ্কের প্রেক্ষাপটে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমেরিকায় নাগরিক সংবর্ধনায় “দুর্নীতিবাজ ও অসৎ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা অব্যাহত রাখার অঙ্গিকারকে আমরা সাধুবাদ জানাই। আমরা মনে করি দেশের ব্যাংকিং সেক্টর, স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা বানিজ্য, পরিবহন এবং মেগাপ্রজেক্ট সমূহে মহা লুটপাটের ফলশ্রুতিতে জাতীয় অগ্রযাত্রা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অগ্রসর শোষন মুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাকে বাধাগ্রস্থ করছে। গুটিকয়েক দুর্নীতিবাজ ও লুটেরা টাকার পাহাড় গড়ে দেশের স্থিতিশীলতা, গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতাকে ভুলন্ঠিত করতে নানা কৌশলে করে সমাজে প্রভাব বিস্তার করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগেই সাম্প্রদায়িকতাবাদী, চিহ্নিত সন্ত্রাসী, ধর্মব্যবসায়ী, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি সমূহ নানান কৌশলে তাদের অবস্থান পাকাপোক্ত করে চলেছে। দেশের সুধিজনেরা দীর্ঘ সময় থেকে জঙ্গীবাদী, লুটেরা ও সন্ত্রাসীবাদীদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সহ গণতন্ত্রমনা সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি যে আহŸান জানিয়ে আসাছিলেন সাম্প্রতিক সময়ে ক্লাব পাড় গ্রেফতারকৃতদের চেহারা প্রকাশ হওয়ার মধ্য দিয়ে তা আবারও প্রমানিত হলো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি প্রতিরোধের কঠোরতম বক্তব্য দুর্নীতির প্রশ্নে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না এ বিষয়টি দেশবাসী খুবই আশাবাদী হয়ে উঠেছে। আমরা মনে করি রাজনৈতিক দল ও সরকারের ভিতরে লুকিয়ে থাকা সুবিধাবাদী মহলের ছত্রছায়ায় সন্ত্রাসীবাদী লুটেরা শ্রেনী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এই সকল অপকর্মের হোতাদের নির্মূলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা দ্রæত বাস্তাবায়নে কার্যকর করতে হবে।
৩ অক্টোবর বিকেল ৫ টায় সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠনের ঢাকাস্থ নেতৃবৃন্দের সভায় সংগঠনের সভাপতি জিয়া উদ্দিন তারেক আলী উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য পঙ্কজ ভট্টাচার্য, অধ্যাপক ড. আজিজুর রহমান, ডা. অসিত বরণ রায়, জয়ন্তী রায়, সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ, সম্পাদক মÐলীর সদস্য সানোয়ার হোসেন সামছী, জহিরুল ইসলাম জহির, এডভোকেট পারভেস হাসেম, অলক দাশগুপ্ত, মামুনুর রশীদ, সাজেদুল আলম রিমন, ইয়াছরেমিনা বেগম সীমা, বিপ্লব চাকমা, কেন্দ্রীয় নেতা জাহাঙ্গীর আলম ফজলু, আজাহার আলী প্রমুখ।
সভায় পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, রাজনীতিবিদ নামধারীরা যখন দুর্নীতিবিদ হয় তাহলে দেশের মানুষ কোথায় যাবে? সাম্প্রতিক সময়ে শুধু রাজনীতি ও কতিপয় এলাকায় চিহ্নিত দু-চারজন জুয়ারীদের মধ্যে দেশের সার্বিক দুর্নীতিবাজ খুঁজলে হবে না, এখানে মাফিয়া গদফাদার, রাজনীতিবিদ, আমলা, প্রশাসন সহ সর্বত্র রয়েছে তাদের চিহ্নিত করতে কোন প্রকার দ্বিধা করলে রাষ্ট্র দুর্নীতিমুক্ত হবে না। জনগনের আকাংক্ষা মাফিয়া, লুটেরাদের মূলউৎপাটন করে অসাম্প্রদায়িক ধারার দেশকে অগ্রসর করে নিতে হবে, জঙ্গিবাদ-সাম্প্রদায়িকতাবাদ নারী-শিশু ও আদিবাসীদের নিপীড়ন মুক্ত করতে হবে। তবেই জনকন্যানের রাজনীতিক ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে।
সভায় সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্টে সালেহ আহমেদ বলেন, দেশে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় সন্ত্রাসবাদী, জঙ্গিবাদী, লুটেরা শ্রেনী সমাজে প্রবাব বিস্তার করা ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বিঘিœত করার অপচেষ্টার জড়িত থাকায় সাধারণ মানুষ তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। সম্প্রতি সামান্য ক্লাব পাড়ার সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে প্রমানিত হলো যে দেশে কালো টাকা, সন্ত্রাসবাদ ও মাফিয়া চক্র কতটা শক্তিশালী এবং বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সারাদেশে মাদক বানিজ্য, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী , জমিদখল, নদীদখল, নারী-শিশু, আদিবাসী নিপীড়নে এই সকল চক্র প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। আমরা আশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে যে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন তা কার্যকর করতে নিরপেক্ষ ও তড়িত পদক্ষেপ নিয়ে দেশে মুক্তিযুদ্ধে অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে সম্মুনত রাখতে সং¯িøষ্ট মহল উদ্যোগী ভ‚মিকা রাখবেন।
বার্তা প্রেরক – বিপ্লব চাকমা, দপ্তর সম্পাদক, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন