সাংবাদিক আতাউস সামাদের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

বিশিষ্ট সমাজচিন্তক ইমেরিটাস অধ্যাপক ড, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যা, টাকা পাচার, রিজার্ভ চুরি, দুর্নীতি, ক্যাসিনো, পানি- জলবায়ু সমস্যাসহ দেশ ও সমাজের ভয়াবহ সব সংকট নিরসনে চাই সাংস্কৃতিক জাগরণ। সাংবাদিক সমাজ ঐক্যবদ্ধ থাকলে এইসব সঙ্কট এতটা ঘনীভূত হতে পারত না। তরুণদের উদ্বুদ্ধ করে ব্যাপক সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে সমাজবদল ঘটাতে হবে। আতাউস সামাদের মত নির্ভীক ও নিবেদিতপ্রাণ প্রত্যয়ী সাংবাদিক এমন দুঃসময়ে সাহস করে সত্য তুলে ধরতেন। বরেণ্য সাংবাদিক আতাউস সামাদের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণসভায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি একথা বলেন। স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে এই সভা বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয় ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রবীণ সাংবাদিক, জাতীয় প্রেস ক্লাব ও বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি রিয়াজউদ্দিন আহমেদ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন নয়াদিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, মহাসচিব এম. আবদুল্লাহ, বিএফইউজে’র সহ সভাপতি ও জিটিভি-সারাবাংলার সিইও সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, এনটিভির বার্তা প্রধান খায়রুল আনোয়ার, ডিআরইউ’র সাবেক সভাপতি শফিকুল করিম সাবু, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক পারভীন সুলতানা মূসা ঝুমা, জাতীয় প্রেস ক্লাব ও বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, কুদরতে মওলা ,শামীমা চৌধুরী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আতাউস সামাদ স্মৃতি পরিষদের আহ্বায়ক কবি হাসান হাফিজ।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী আতাউস সামাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে রোহিঙ্গা সমস্যা, এনআরসি সমস্যা আরো বড় আকারে তুলে ধরতে পারতেন। এগুলো দ্বিপাক্ষিক সমস্যা নয়। এগুলো আস্তর্জাতিক পর্যায়ে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরতে হবে। সাংবাদিকরা কখনোই নিরপেক্ষ নন। তারা সব সময়ই জনগণের কল্যাণের পক্ষে।
এর আগে সকালে আজিমপুর কবরস্থানে বরেণ্য সাংবাদিক আতাউস সামাদের কবরে বিএফইউজে, ডিইঊজে এবং স্মৃতি পরিষদের তরফে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মরহুমের রূহের মাগফেরাত কামনায় মেনাাজাত করা হয়।
বার্তা প্রেরক – নূরুল আমিন রোকন, সিনিয়র সহ-সভাপতি, বিএফইউজে