২০০১ সালে সিপিবি সমাবেশে বোমা হামলা মামলায় ১০ জন আসামির মৃত্যুদণ্ড

২০০১ সালে পল্টনে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি সমাবেশে বোমা হামলা মামলায় ১০ জন আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রবিউল আলম এই রায় ঘোষণা করেছেন।
১৯ বছর আগে আজকের দিনেই অর্থাৎ ২০শে জানুয়ারি পল্টন ময়দানে এক ছাত্র-শ্রমিক সমাবেশ আয়োজন করেছিল সিপিবি, যেখানে সমাবেশ চলার মধ্যেই ঐ বোমা হামলা হয়েছিল।
এতে ঘটনাস্থলে চারজন এবং পরে হাসপাতালে একজনসহ মোট পাঁচজন নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছিলেন।
২০১৯ সালের ১লা ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়।
মামলায় মোট ৩৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের একজন আইনজীবী জানিয়েছেন, মামলার মোট আসামি ১২জন, এর মধ্যে ১০জনকে আজ মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
আসামিদের মধ্যে মুফতি আবদুল হান্নানের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
এছাড়া অপর দুইজন আসামি খালাস পেয়েছেন।
ঐ ঘটনায় সিপিবির তৎকালীন সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান খান বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন।
২০০৩ সালে আসামিদের বিরুদ্ধে নির্ভরযোগ্য তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
বাংলাদেশে ১৯৯৯ সালে যশোরে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সম্মেলনে বোমা হামলা এবং খুলনার আহমদীয়া মসজিদে বোমা হামলা করা হয়।
২০০০ সালে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ হাসিনার জনসভায় বোমা পেতে রাখা হয়।
এরপর ২০০১ সালের ২০শে জানুয়ারি সিপিবি সমাবেশে বোমা হামলা, ১৪ই এপ্রিল রমনা বটমূলে বোমা হামলা হয়।
বাংলাদেশে এরপর গির্জা এবং সিনেমা হলসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ধারাবাহিকভাবে অনেকগুলো বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।
একের পর এক এসব বোমা হামলার কারণে সেসময় সিপিবির সমাবেশে বোমা হামলার ঘটনাটি ব্যাপক আলোচিত হয়।
এরপর ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা ও ২০০৫ সালের অগাস্টে দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা হয়।
পরবর্তীতে এসব ঘটনায় জঙ্গিরা জড়িত এমন অভিযোগের প্রেক্ষাপটে ২০০৫ সালে সিপিবি সমাবেশে বোমা হামলার মামলাটি পুনঃতদন্তের আদেশ দেওয়া হয়।
মামলাটি পুনঃতদন্তের পর ২০১৪ সালের ২১শে অগাস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। – বিবিসি বাংলা