আবরার হত্যাকান্ডে দেশবাসি ক্ষুব্ধ -নেজামে ইসলাম পার্টি

বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পাটির সভায় আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করে বলা হয়েছে যে, অতীতে পৈশাচিক মনোবৃত্তি চরিতার্থকারীদের উত্তসূরীরাই যে এধরনের জঘন্য কাজের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। বুয়েট এলাকায় এধরনের ঘটণা সংঘটিত হওয়ায় দেশবাসি বিস্ময়ে হতাশ, হতবাক ও ক্ষুব্ধ। এধরনের অনাকাংখিত ও হৃদয়বিদারক ঘটণায় দেশের ছাত্রসমাজ জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় শংকিত। শিক্ষাঙ্গন আজ সন্ত্রাসী ও মাস্তানদের অভয়ারণ্যে ও স্বর্গ রাজ্যে পরিণত হয়েছে। নেশাগ্রস্থ সন্ত্রাসীরা উন্মাদনার বশবর্তী হয়ে এ বর্বরোচিত কাজ করে। ফ্যাসিবাদী ও উন্মত্ত আচরণে শিক্ষাঙ্গন আজ শৃংখলিত। সামাজিক মূল্যবোধের কোনো মাপকাঠি দিয়ে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির অন্ত পাওয়া যাচ্ছেনা । সভায় সন্ত্রাসের কবল থেকে ক্যাম্পাসকে রক্ষা করার লক্ষ্যে গ্রহণযোগ্য, যথোপযুক্ত ও বাস্তবানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্যে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
পার্টির সভাপতি মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামীর সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মুফতি আবদুল কাইয়ূমের সঞ্চালনায় পুরানা পল্টনস্থ মাওলানা আতহার আলী রহ. মিলনায়তনে বিকেলে নেজামে ইসলাম পার্টি আয়োজিত ”আবরার হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই” শীর্ষক অনুষ্ঠিত সভায় এসব কথা বলা হয়। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুগ্মমহাসচিব উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাওলানা শেখ লোকমান হোসেন, মাওলানা একেএম আশরাফুল হক ও মাওলানা ওবায়দুল হক; কামালপাশা বাদশাহ দোজা এবং ইসলামী ছাত্র সমাজের সভাপতি মোঃ নুরুজ্জামান প্রমূখ।
মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী সভাপতির বক্তৃতায় বলেন, রাজনৈতিক আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে যে কিরকম বর্বরোচিত বিপর্যয় ঘটতে পারে, আবরার ফাহাদের পৈশাচিক হত্যাকান্ড তারই প্রকৃষ্ট প্রমাণ। তিনি বলেন, বুয়েট প্রশাসনের নাগের ডগায় হলগুলোতে টর্চার সেল পরিচালনার মতো জঘন্য ঘটণা বিস্ময়ের উদ্রেক করে। আবরার খুনের ঘটণা বিষদিগ্ধ শল্যের ন্যায়, তাই সমগ্র দেশ প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, নানা চিন্তা-ভাবনার শিকলে বন্দী ছাত্রদের হিংসা-দ্বেষ-বিদ্বেষ চুকিয়ে দিয়ে ভ্রাতৃত্ববোধের ধ্বজা বহন করার যোগ্য হওয়া উচিৎ। ছাত্র রাজনীতির পারিপার্শ্বিক অবস্থা সম্পর্কে জাগ্রতচিত্ততার পরিচয় দিতে হবে ছাত্রদেরকে । আবরারই যেন ক্যাম্পাসে শেষ হত্যাকান্ড হয়, ছাত্রদের মনে কতদিনে সেই স্পন্দন জাগবে তা ভেবে পাওয়া দুস্কর।
মাওলানা মিজানুর রহমান -প্রচার সম্পাদক