করোনার এ পর্যায়ে চীন-রাশিয়া থেকে টিকার জন্য ছোটাছুটি করা নির্মম পরিহাস

বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পরে ১৩ মাসের অধিক সময় অতিক্রান্ত হয়েছে। ১০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। আক্রান্ত হয়েছে পৌনে আট লাখের মতো মানুষ। ৩ দফার লকডাউনে দেশ স্থবির থেকে জীবিকা হারিয়েছে কোটি মানুষ। অথচ সরকার করোনার টিকার জন্য যথাযথ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ১০ হাজার মানুষের মৃত্যুর পরে এখন তারা চীন-রাশিয়া থেকে টিকা সংগ্রহ করার জন্য নতুনভাবে তোড়জোর শুরু করেছে। মানুষের জীবনকে এ সরকার কত তুচ্ছ বিবেচনা করে, তার নির্মম একটি উদাহরণ এটি।করোনা ও চলমান পরিস্থতি নিয়ে এক জরুরী অনলাইন বৈঠকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই উপর্যুক্ত মন্তব্য করেন। এ সময় বৈঠকে অংশ ওনন মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কেএম আতিকুর রহমান, শেখ ফজলুল করীম মারূফ প্রমূখ।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, করোনা শনাক্তের পরে দেশে কতশত যজ্ঞের কথা শোনা গেলো! মহা সমারোহে সুবর্ণ জয়ন্তি পালন করা হলো। কিন্তু করোনা ব্যবস্থাপনা নিয়ে কার্যকর কিছু হলো না। টিকার জন্য ভারতের মতো তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশের ওপর নির্ভর করে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকলো। যে ভারত সামান্য পেঁয়াজ নিয়ে কুটচাল চালে সেই ভারত করোনার টিকা যথানিয়মে দেবে; এমন আশা নিদারুন ভারত প্রেমিরাও নিশ্চিন্তে করার কথা না। কিন্তু সরকার তাই করে বসে থাকলো; এটা হতাশাজনক।
তিনি আরো বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে এনে আনন্দ বিলাস করলো। আর এখন যখন প্রতিদিন শতশত মানুষ মারা যাচ্ছে তখন তারা টিকা নিয়ে নয়-ছয় শুরু করেছে। সরকার বাধ্য হয়ে চীন-রাশিয়া থেকে টিকা যোগাড় করার দৌড়ঝাপ করছে। বিশ্বে করোনার ইতিহাসে এ এক অমোচনীয় কলংক হয়ে থাকবে।
তিনি অবিলম্বে করোনা ব্যবস্থাপনায় সর্বদলীয় জাতীয় কমিটি গঠন করে সম্ভাব্য সকল মাধ্যমে টিকা সংগ্রহ করার আহ্বান জানান।
পীর সাহেব চরমোনাই পবিত্র রমজান মাসে দেশের সন্মানিত আলেমদের বিরুদ্ধ চলমান গ্রেফতার অভিযানেরও নিন্দা জানান।
তিনি বলেন, গ্রেফতার অভিযান বন্ধ করে নিরপরাধ আলেমদেরকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। নয়তো সরকারকে জনরোষের মুখোমুখি হতে হবে। – প্রেস বিজ্ঞপ্তি