কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকলে দেশের নয় দূর্নীতিবাজদের উন্নয়ন হবে -আইএবি

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেছেন, কৃষি প্রধান বাংলাদেশে স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরেও কৃষকরা ফসল উৎপাদন করে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব হবে না। এতে বেকারত্ব দূর হবে না। অশিক্ষা দূর হবে না। দেশের বৃহত্তর অংশ সুবিধা বঞ্চিত থেকেই যাবে। তিনি কৃষকের কান্না বন্ধ করে তাদের মুখে হাসি ফোটাতে ইসলামী কৃষক-মজুর আন্দোলনের ১৫ দফা দাবী বাস্তবায়ন করতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।
আজ বিকেলে ইসলামী কৃষক-মজুর আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর ডেমরা থানা শাখা আয়োজিত ডেমরার অর্পিতা কমিউনিটি সেন্টারে নতুন কমিটির পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ইসলামী কৃষক-মজুর আন্দোলন ডেমরা থানা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ জাফর উল্লাহ জেহাদীর সভাপতিত্বে ও মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ এর পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওঃ ইমতিয়াজ আলম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন,ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মোঃ হারুন অর-রশীদ, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী কৃষক-মজুর আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম কবির, বক্তব্য রাখেন, মোঃ ইয়াছিন আকন্দ, মোঃ মাসুম আহমেদ, জামান মোস্তফা ঢালী, হাফেজ মোঃ মাজহারুল ইসলাম প্রমূখ।
মাওঃ ইমতিয়াজ আলম বলেন, একজন কৃষক অনেক সময় শ্রম অর্থ ব্যায় করে ফসল উৎপাদন করার পরেও তারা ন্যায্য মূল্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েই যাচ্ছে। সরকার এসব বিষয় সম্পর্কে অবহিত থাকার পরেও কৃষকের লোকসান বন্ধ করতে কার্যকরী কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে কৃষকরা অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।
শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা দুর্নীতিগ্রস্ত। যে কারণে মাঠ পর্যায়ের কৃষি উন্নয়ন কর্মর্তারা দায়িত্ব পালনে অবহেলা করছে, এতে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে নগরে হকার বৃদ্ধি পাচ্ছে। গ্রামের লোকেরা শহরে ভীর জমাচ্ছে। নগর জীবন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, কৃষক ফসল উৎপাদন করে লাভবান হলে নগর জীবনে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। পথে পথে কোনো হকার থাকবে না। – প্রেস বিজ্ঞপ্তি।