কোটা ও নিরাপদ সড়ক কর্মি নারীদের গ্রেফতার-হয়রানী বন্ধ কর

২০ জন নারী অধিকার কর্মির যৌথ বিবৃতি
আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে সরকারী চাকরীতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও নিরাপদ সড়কের দাবীতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর নানা শ্রেনী পেশার ব্যক্তি ও ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর নিপীড়ন বেড়ে গেছে; তাদের গ্রেফতার ও রিমান্ডে নেয়া হচ্ছে। অনেকেই বর্তমানে কারাগারে আছে। আমরা তাদের আশুমুক্তি দাবী করছি।
একই সাথে আমরা আরো গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন যে এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন ছাত্রীদের ওপর বিশেষভাবে গ্রেফতার অভিযান চালানো হচ্ছে এবং তাদের গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে দুই-তিনদিন থানায় রাখা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় ফেসবুকে লেখা কিংবা “গুজব” ছড়ানোর অভিযোগে ছাত্রীদের গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে, এবং কোন কোন ক্ষেত্রে রিমান্ডের দিন বাড়ানো হচ্ছে। কিছু গ্রেফতার পুলিশের ভুলের কারণে ঘটেছে এমন প্রমাণ হলেও তাদের ভিন্ন মামলা দিয়ে আটকে রাখা হচ্ছে। জানা গেছে কোন কোন ক্ষেত্রে গ্রেফতারকৃত অভিযুক্ত নারীকে আইনজীবীর সহায়তা নিতেও দেয়া হয় নি যা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের লংঘন। এ ঘটনায় আমরা ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ ও শন্কিত।
যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে দেশের আইন অনুযায়ী বিচার হবে, কিন্তু গ্রেফতারের পর রিমান্ডের নামে ছাত্রীদের হয়রানী অবিলম্বে বন্ধ করা হোক। ছাত্রীরা বর্তমানে সবক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। আন্দোলনে অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব দেয়া তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার।
অবিলম্বে আটককৃতদের মুক্তি ও সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ ব্যতীত কাউকেই গ্রেফতার, নিপীড়ন ও নির্যাতন না করার জোর দাবী জানাচ্ছি।
১. এড. এলিনা খান, মানবাধিকার কর্মী, ২. সুমাইয়া ইসলাম, নারী আন্দোলন কর্মী, ৩. শিরীন আজিজী, সমাজ কর্মী, ৪. রুবীনা রহমান, সমাজ কর্মী, ৫. প্রফেসর ডা. নায়লা জানান খান, চিকিৎসক, ৬. তাসমিয়াহ্ আফরীন মৌ, চলচিত্র নির্মাতা ও লেখক, ৭.শিরীন প হক, আন্দোলন কর্মী, ৮. ফরিদা আখতার, নারী অধিকার কর্মী, ৮. সাইদা আখতার, নারী অধিকার কর্মী, ৯. বহ্নিশিখা জামালী, শ্রমজীবি নারী মৈত্রী কর্মী, ১০. তাসকীন ফাহমিনা, মানবাধিকার কর্মী, ১১. আনুশেহ আনাদিল, সঙ্গীত শিল্পী, ১২.ফেরদৌস আখতার, শিক্ষক, ১৩. গাউস পেয়ারী মুক্তি, উন্নয়ন কর্মী, ১৪. তহমিনা হাবিব, লেখিকা, ১৫. রোকেয়া বেগম, স্বাস্থ্য অধিকার কর্মী, ১৬. ফাহিমা খাতুন, উন্নয়ন কর্মী, ১৭. মির্জা তাসলিমা সুলতানা, অধ্যাপক, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়, ১৮. কামরুন নাহার, আইনজীবি, ১৯. সীমা দাস সীমু, শ্রমিক অধিকার কর্মী, ২০. রোকেয়া খানম, হোমিও চিকিৎসক, ২১. সামিয়া আফরীন,নারী অধিকার কর্মী, ২২. মাহিন সুলতান, নারী আন্দোলন কর্মী। – প্রেস বিজ্ঞপ্তি।