‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মত প্রকাশের স্বাধীনতার বড় অন্তরায়’

বহুল বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ ও অপ ব্যবহারের মাধ্যমে জাতির বিবেক হিসাবে বিবেচিত সৎ, নির্ভীক, নিরপেক্ষ ও আপোষহীন পেশাদার সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করার অপচেষ্টা চলছে। ঠুনকো অজুহাতে দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ.এম.এম বাহাউদ্দীনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার নিন্দা জানিয়ে প্রেরিত এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ সভাপতি এড. বদরুদ্দোজা সুজা ও মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের এ মন্তব্য করেন। নেতৃদ্বয় বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি শুরু থেকেই বিভিন্ন কারণে বিতর্কিত। একশ্রেণীর কিছু সুবিধাভোগী চাটুকার আলোচনায় আসার আশায় অথবা তাদের প্রভুভক্তি ও তীব্র আনুগত্যের নমুনা হিসাবে এই ডিজিটাল আইনের অপপ্রয়োগের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তির নামে মামলা করে আইনটিকে আরো চরমভাবে বিতর্কিত করে ফেলছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু ধারা সংশোধনের জন্য ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, সম্পাদক পরিষদ, টিভি চ্যানেল মালিকদের সংগঠন এটকো সহ দেশের সচেতন সমাজ প্রথম থেকেই দাবী জানিয়ে আসছে।

BML secretary Kazi Abul Khair

আইনটির এই অপপ্রয়োগ তাদের দাবীর যথার্থতা ও অপরিহার্যতা নতুন করে নিশ্চিত করছে। করোনা কালীন সময়ে এই আইনের ভয়াবহ অপব্যবহার লক্ষণীয়। সমাজকর্মী, রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক, শিক্ষক এমনকি নবম শ্রেণীর ছাত্রকেও এই আইনে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার হতে আমরা দেখেছি। সাংবাদিকরা দুর্নীতি, অনিয়ম, অপশাসন আর অব্যবস্থাপনার বিষয়গুলো জনগণের দৃষ্টিগোচরে আনছেন বলে তারাই এই বিতর্কিত আইন অপপ্রয়োগের বেশী শিকার হচ্ছেন।
নেতাদ্বয় বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এই মূহুর্তে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য সবচেয়ে বড় অন্তরায়। তারা অবিলম্বে দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ.এম.এম বাহাউদ্দীন সহ সংবাদকর্মীদের নামে এই বিতর্কিত আইনে দায়েরকৃত সকল মামলা বাতিল, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনয়ন এবং চাটুকার ও সুবিধাভোগী শ্রেণীর লাগাম টেনে ধরার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবী জানান।
(সংবাদ প্রেরক), কাজী এ. এ কাফী, অতি: মহাসচিব, ০১৮১৭০১৪৪৪০