তওবা ইস্তেগফার ও ইবাদতে সময় কাটানোর আহবান -পীর সাহেব চরমোনাই

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন,
রমযান মাস আত্মশুদ্ধি অর্জনের মাস। সহানুভূতির মাস। এ মাসের যথাযথ মর্যাদা রক্ষার জন্য সর্বস্তরের মুসলমানকে এগিয়ে আসতে হবে। এক বিবৃতিতে পীর সাহেব বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, অনলাইনসহ স্যাটেলাইট টেলিভিশনগুলোতে সকল প্রকার অশ্লীল ছবি প্রদর্শন বন্ধ রাখতে হবে। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, লকডাউনের সুযোগে এক শ্রেণির মানুষ কৌশলে অশ্লীলতাকে উস্কে দিয়ে যুব সমাজের চরিত্র নষ্ট করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। তাই সকল প্রকার অশ্লীলতা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি বলেন, সিন্ডিকেট করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়াতে না পারে এ জন্য সিন্ডিকেটগুলোকে ভেঙ্গে দিতে হবে। গরীব, অসহায় ও মেহনতি মানুষের প্রতি নজর দিন, যেন অর্ধাহারে ও অনাহারে না থাকে।
তিনি বলেন, আত্মশুদ্ধি, সাম্য, সহমর্মিতা ও মানবীয় গুণাবলী সুষ্টির উদাত্ত আহবান নিয়েই রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস পবিত্র রমযান আমাদের দ্বারপ্রান্তে সমাগত। তাই বেশি বেশি তওবা, ইস্তেগফার এবং ইবাদম বন্দেগীর মধ্যে সময় অতিবাহিত করতে সকলের প্রতি আহŸান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মুসলিম জাতীয় ঐতিহ্য চেতনায় এবং ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক জীবনে রমযান অতি গুরুত্বপূর্ণ। রমযান মাস পবিত্র কুরআন নাজিলের মাস, ইসলাম প্রতিষ্ঠার মাস, বিজয়ের মাস। মুসলমানের দ্বীন ও দুনিয়ার সমৃদ্ধি, পার্থিব ও আধ্যাত্মিক উন্নতি, দৈহিক ও মানবিক শ্রেষ্ঠত্ব আর গৌরব ও মর্যাদার অবিস্মরণীয় স্মৃতি বয়ে নিয়ে আসে মাহে রমযান। উন্নত চরিত্র অজর্নের পক্ষে অন্তরায় পাশবিক বাসনার প্রাবল্যকে পরাভূত করতঃ পাশবিক শক্তিকে আয়ত্তাধীন করা হচ্ছে সিয়ামের তাৎপর্য। ব্যক্তিগত এবং সামাজিকভাবে সর্বত্র আল্লাহর দ্বীনের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠায় যাবতীয় প্রতিকূলতার মুখে টিকে থাকার জন্যে যে মানসিকতার প্রয়োজন, সিয়ামের সাধনার মধ্যেই তা অর্জিত হয়।