দাখিল পরীক্ষার খাতা ভিন্ন ধারার শিক্ষকদের দিয়ে মূল্যায়নের সুপারিশ বাতিল কর

বাংলা, ইংরেজী ও গণিত বিষয়ের যথাযথ মূল্যায়নের জন্য মাদরাসা শিক্ষকরাই যথেষ্ট। মাদরাসায় যারা এসব বিষয়ে পাঠদান করেন, তারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে শিক্ষক নিবন্ধনের মাধ্যমে নিয়োগ প্রাপ্ত। বিএসসি কিংবা এমএসসি ক্ষেত্র বিশেষ ইংরেজিতে অনার্স-মাস্টার্স পাশ করা শিক্ষকরাই মাদরাসায় অংক বা ইংরেজির মতো বিষয়গুলো পড়ান। হয়তো হাতে গোনা দু‘একজন শিক্ষক নিয়ে সমস্যা হতে পারে; যেটা অন্য ধারার শিক্ষায় ব্যবস্থায় ভূরি ভূরি। তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। কিন্তু এ খোঁড়া অজুহাতে ভিন্ন ধারার শিক্ষকদের দিয়ে উল্লেখিত বিষয়ের উত্তরপত্র মূল্যায়নের সুপারিশ কেবল মাদ্রাসা শিক্ষাকে তাচ্ছিল্য করা ও একটি গোষ্ঠীর এ শিক্ষার প্রতি বিষদগারের বহি:প্রকাশ মাত্র। এসব চিন্তা ভাবনা বাদ দিয়ে মাদরাসা শিক্ষার স্বকীয়তা ও সম্মান অক্ষুন্ন রেখে মাদরাসা শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে পিটিআই ও বিএড, এমএড- এর মতো মাদরাসা শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করুন এবং প্রাইমারি ও মাধ্যমিকের মতো ইবতেদায়ী ও দাখিল মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকদের সরকারী সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করুন।
আজ ১২ ডিসেম্বর ২০২১ ইং, শুক্রবার, সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে এবং সহ-সভাপতি মোস্তফা আল-মুজাহিদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, তালাবায়ে আরাবিয়ার ইবি শাখার সাবেক সহ-সভাপতি মাওলানা মুহা. আবু বকর সিদ্দিক, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহা. আব্দুল কাদির, মাওলানা মুহা. আব্দুর রহমান, বর্তমান কেন্দ্রীয়, প্রধান সম্পাদক মুহাম্মদ আহসান হাবীব, যুগ্ম সম্পাদক মো. জুবায়ের, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদুল হুসাইন, অফিস সম্পাদক মাহমুদুল হাসান শামীম, পাঠাগার সম্পাদক ইমরানুল হক, ঢাকা মহানগরীর আহব্বায়ক আবু সালেহ, ইসলামী ছাত্র শক্তির কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. আব্দুল খালেক, মো. কাওসার হোসেন, মজনু সরকার প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ সংসদীয় কমিটির মন্তব্য “মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনেক শিক্ষকদের মধ্যে নিজেদের চাকরির স্বার্থে শিক্ষার্থীদের পাস করানোর প্রবণতা দেখা যায়” বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, মাদরাসার ছাত্ররা তাদের মেধা দিয়েই বোর্ড পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করেন; শিক্ষকদের বা অন্য কারোর করুণায় নয়। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, আলিম পাশ করে প্রাচ্যের অক্সফোড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় মাদরাসার ছাত্ররা বিভিন্ন ইউনিটে প্রায় প্রতি বছর প্রথম স্থান অধিকার করে আসছে। এছাড়াও মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃতিত্বের সাথে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে দেশে-বিদেশে সফলতার স্বাক্ষর রাখছে। সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেও তাদের অবস্থান অতুলনীয়। সংসদীয় কমিটির মন্তব্য জাতিকে বিভ্রান্ত করা এবং মাদরাসা শিক্ষার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু নয়। আমরা মনে করি, মাদরাসা শিক্ষা সম্পর্কে সংসদীয় কমিটির সদস্যদের সঠিক ধারণা না থাকায় অজ্ঞতা বশত তারা এ মন্তব্য করেছেন। আলোচকবৃন্দ বলেন, অনতিবিলম্বে এ সুপারিশ প্রত্যাহার করুন অন্যথায় মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকসহ সর্বস্তরের জন সাধারণকে সাথে নিয়ে গণ আন্দোলনের মাধ্যমে মাদরাসা শিক্ষার স্বকীয়তা রক্ষা করতে আমরা বাধ্য হবো। – প্রেস বিজ্ঞপ্তি
বার্তা প্রেরক, মুহাম্মদ নাঈমুল ইসলাম নাঈম, প্রচার সম্পাদক