দুর্নীতি, সন্ত্রাসের জন্যে সরকার থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নেয়

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বর্তমানে দুর্নীতি, সন্ত্রাস মহামারি আকার ধারণ করেছে। ব্যাংক লুট, বাংলাদেশ ব্যাংকের লকার থেকে র্স্বণ চুরি হয়ে যাওয়া এবং ৮২৭ কোটি টাকার কয়লা লুটের কারণে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে সরকার থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সর্বত্র সরকারের প্রতি গণমানুষের নাভিম্বাস সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমে এসেছে। শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিতে হবে। মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগকে দায়িত্ব দিয়েছেন “ শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে ঘরে ফিরিয়ে নিতে” প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়ার পরই শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটছে। তাহলে প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগকে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার দায়িত্ব দিয়েছেন? না হলে ছাত্রলীগ নিরীহ নিরাপরাধ ছাত্রদের উপর কেন হামলা করলো তার জবাব দিতে হবে। তিনি বলেন, ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা সরকারকে কী ম্যাসেজ দিয়েছে? এ থেকে শিক্ষা না নিলে আগামীতে চরম খেসারত দিতে হবে।আজ রবিবার বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন-এর রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, সহ-প্রচার সম্পাদক মাওলানা নেছার উদ্দিন, রিয়াদ শাখার মুফতী আলতাফ হোসেন, কুয়েত শাখার সভাপতি মুফতী আব্দুর রহমান জামী, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী প্রমুখ।
মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমেছে। কিন্তু শুধু নিরাপদ সড়ক নয়, নিরাপদ সমাজ এবং নিরাপদ রাষ্ট্র প্রয়োজন। মোট কথা সর্বক্ষেত্রে নিরাপদ জীবন চাই। আর এজন্য প্রয়োজন ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার। ইসলামী শাসন ব্যবস্থাই কেবল সবকিছুর নিরাপদ নিশ্চয়তা দিতে পারে।
গতকাল শনিবার সকাল ও বিকালে ইসলামী আন্দোলন মুরাদনগর উপজেলার দ. রামচন্দ্রপুর ও কামাল্লা ইউনিয়ন কমিটি গঠন উপলক্ষে পৃথক পৃথক কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা-৩ আসনে সংসদ প্রার্থী মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম। সকালে দক্ষিণ রামচন্দ্রপুরের মির্জাপুরস্থ একটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত কর্মী সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, আলহাজ¦ আনোয়ার হোসেন, উপজেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুহাম্মদ আবদুল হক, মাস্টার মফিজুল ইসলাম। পরে আমীর হোসেনকে সভাপতি, মাও. আবু তাহেরকে সহ-সভাপতি, মুহা. বশির আহমদকে সেক্রেটারী করে দ. রামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন এবং মুহা. গিয়াস উদ্দিনকে সভাপতি, আনিসুর রহমানকে সহ-সভাপতি ও মুহা. দেলাওয়ার হোসেনকে সেক্রেটারী করে ইসলামী আন্দোলন কামাল্লা ইউনিয়ন শাখার ১৭ সদস্য বিশিস্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। – প্রেস বিজ্ঞপ্তি