নির্বাচনের নামে ফের তামাশা করা হয়েছে -পীর সাহেব চরমোনাই

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, নির্বাচনের নামে ফের তামাশা করা হয়েছে তৃতীয় ধাপ পৌরসভা নির্বাচনেও। এভাবে ভোট ডাকাতির মহড়া দিতেই নির্বাচন আয়োজনের নামে জাতির সাথে তামাশা করেছে সরকার। এগুলো বন্ধ হওয়া উচিত। তিনি বলেন, সরকার ভোটের নামে জালিয়াতি আর ডাকাতির মহড়া দেওয়ার জন্যই নির্বাচনের আয়োজন করেছে।
আজ এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পর্যন্ত কোন নির্বাচনেই দেশের মানুষের ভোট দিতে পারছে না। মানুষের এখন বিন্দু পরিমান আস্থা নেই। মানুষ এখন আর নির্বাচনে ভোট দিতে যায় না। কারণ জনগণের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়ে শুধু একটি দলই বারবার নির্লজ্জের মতো ভোট জালিয়াতি ও ডাকাতি করে জয়লাভ করছে। এতেই বোঝা যায় বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ভোট গ্রহণ নয়, ভোট ডাকাতির মহড়া দিতেই নির্বাচনের আয়োজন করে।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, পৌরসভা নির্বাচনের আজকে অনুষ্ঠিত তৃতীয় ধাপেও নানা অভিযোগ নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে এসেছে। এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া, ভোট দিতে বাধা, ডিজিটাল খোদ হাতপাখার প্রার্থীদেরকে ভোট দিতে না দেওয়া। নির্বাচনী ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা চরমভাবে উদ্বিগ্ন। তিনি জনগণের নাগরিক ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলামকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিজয়ী করার লক্ষ্যে ইসলামী আন্দোলনের পতাকাতলে সমবেত হওয়ার আহ্বান জানান।
দেশে মানুষের জানমাল ও নাগরিক অধিকার নেই – মহাসচিব, ইসলামী আন্দোলন
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমদ বলেছেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত না থাকায় দেশের সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। মানুষের জান-মাল, ইজ্জত আব্রুর নিরাপত্তা নেই। নাগরিক ও ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে ক্ষমতাসীনরা আজীবন ক্ষমতায় টিকে থাকার যে অপরিণামদর্শি খেলায় মেতে উঠেছে তা রুখে দিতে হবে। নির্বাচনের নামে সবক’টি ভোটকেন্দ্র ক্ষমতাসীনরা দখলে রাখছে। ভোটার তো দূরের কথা অন্য দলের এজেন্টদেরকে পর্যন্ত কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয় না। এটা কেমন নির্বাচন ব্যবস্থা বুঝে আসে না। তিনি বলেন, এক তরফা নির্বাচনের মানে হয় না। এর চেয়ে দেশের অর্থ অপচয় না করে প্রধানমন্ত্রীল দপ্তর থেকে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা দিয়ে দিলেই ভাল হয়।
আজ রাজধানীর ভাটারাস্থ আস’সাঈদ অডিটরিয়ামে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর-এর দ্বি-বার্ষিক শুরা অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সভাপতি মন্ডলীর সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান। ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সেক্রেটারী মাওলানা আরিফুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা নুরুল ইসলাম নাঈম, অর্থ সম্পাদক ডা. মুজিবর রহমান, দফতর সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন, সহ-দফতর সম্পাদক মুফতী নিজাম উদ্দিন, ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. শওকত আলী হাওলাদারসহ আরও অনেকে।