পশ্চিমা নোংরা সংস্কৃতি যুবসমাজকে গ্রাস করে ফেলেছে -পীর সাহেব চরমোনাই

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, মানুষের নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধ চরম বিপর্যয়ের মুখে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত না থাকলে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি যে কোন পর্যায়ে জাতিকে নিয়ে যায়, তা বলা বাহুল্য। নৈতিকতা বিবর্জিত শিক্ষা ব্যবস্থা জাতিকে বেহায়া ও নির্লজ্জ করে তুলছে। পারিবারিক বন্ধন ভেঙ্গে যাচ্ছে। পরকীয়া মারাত্মক আকার ধারণ করছে। আর এসবই হচ্ছে বেপর্দা ও ইসলামী শিক্ষার অভাবে। তিনি বলেন, সামাজিক ভারসাম্যতা ও সমাজে ইনসাফ প্রতিষ্ঠার জন্য ইসলামের বিকল্প নেই। ইসলামী মূল্যবোধের অভাবেই মানুষ মানুষকে খুন, হত্যা ও ভয়াবহ নির্যাতনের মুখে ঠেলে দেয়। মানবিক মূল্যবোধ ও ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শাসনের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও কায়েমী স্বার্থবাদের মূলোৎপাটন করে জীবনের সর্বক্ষেত্রে ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত না করতে পারলে অশান্ত এই সমাজে শান্তি ফিরে আসবে না। বরং অশান্তির আগুন দিন দিন বাড়েই। তিনি বলেন, ইসলামই একমাত্র সামগ্রিক অধিকার নিশ্চিত করেছে। এজন্য সকলকে ইসলামে ফিরে আসতে হবে। এছাড়ামানবতার মুক্তি নেই।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধোপখোলাস্থ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে ৩ দিনব্যাপী ২৪তম বিশাল ইসলামী মহাসম্মেলন ও হালকায়ে জিকিরের উদ্বোধনী আলোচনায় পীর সাহেব চরমোনাই এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি ঢাকা বিভাগীয় শাখা এ সম্মেলনের আয়োজন করে। বক্তব্য রাখেন নায়েবে আমীরুল মুজাহিদীন প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানি, বেফাকের মহাসচিব মুফতী আব্দুল কুদ্দুস, মাদানিনগর মাদরাসার প্রধান মুফতী ওমর ফারুক সন্ধিপী, মাওলানা হাফিজুর রহমান ছিদ্দিক কুয়াকাটা। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্ব শাহ আব্দুল আহাদ, ডা. দেলোয়ার হোসেন, দক্ষিণ মেয়রপ্রার্থী আলহাজ্ব আব্দুর রহমান।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, তথাকথিত ভালবাসা দিবসের নামে নোংরা সংস্কৃতি আমাদের যুবক-যুবতিদেরকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে। তাই পশ্চিমা এই নোংরা সংষ্কৃতি রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করে মুসলমানদের ঈমান ও আমলের হেফাজত করা সরকারের দায়িত্ব। তিনি সচেতন অভিভাবকদেরকে নিজ নিজ সন্তানদের এসব নোংরা ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখার আহবান জানান। – প্রেস বিজ্ঞপ্তি