প্রচার মাধ্যমে জাতীয় কবি নজরুল উপেক্ষিত -মুসলিম লীগ

আমাদের যুদ্ধে, সংগ্রামে ও বিশ্বাসী জীবনাচারে কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা-গান নিরবচ্ছিন্ন প্রেরণা ও চেতনার উৎস। ব্রিটিশ শাসিত বাংলার শোষিত ও নির্যাতিত মুসলিম জনগোষ্ঠীর স্বাধিকার আন্দোলনে আজাদ পত্রিকা ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মতই আব্বাসউদ্দিনের কণ্ঠে গাওয়া নজরুল রচিত গানগুলো বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ করা সহ মানসিক শক্তি যুগিয়ে তাদের কণ্ঠে সাফল্যের বীরমাল্য তুলে দিয়েছিল। একই ভাবে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ইয়াহিয়া খানের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে সংগ্রামে-লড়াইয়ে নজরুলের কালজয়ী দেশাত্মবোধক-বিদ্রাহী কবিতা ও গানগুলো আরেকটি নতুন পতাকা ও মানচিত্র অর্জনে জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছে। আমাদের জাতিসত্তা, ঐতিহ্য, গৌরব ও স্বাধিকার আন্দোলন গুলোর সাথে কাজী নজরুল ইসলাম নিবিড়ভাবে মিশে আছেন। অথচ বাংলাদেশের বেতার ও টিভি চ্যানেলগুলোতে তার জন্ম-মৃত্যুবার্ষিকী ছাড়া তার কবিতা-গানগুলো আর নিয়মিত প্রচারিত হয়না। অথচ এমন অনেককে নিয়েই মাতম করা হয় যারা সম্পূর্নভাবেই আমাদের জাতীয় চেতনার সাথে সম্পর্কহীন। প্রচার মাধ্যমগুলোতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের রহস্যজনক কারণে উপেক্ষিত থাকা জাতির জন্য ক্ষোভের ও বেদনার বিষয়। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং প্রচার মাধ্যমগুলোর এবিষয়ে সুদৃষ্টি দেয়া উচিত বলে মনে করেন বাংলাদেশ মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দ।
আজ বেলা তিনটায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের উদ্যোগে দলীয় প্রধান কার্যালয়ে নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদারের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে দলীয় নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত মন্তব্য করেন। আরও বক্তব্য রাখেন প্রধান বক্তা দলের স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য আতিকুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, অতিঃ মহাসচিব আকবর হোসেন পাঠান, কাজী এ.এ কাফী, সাংগঠনিক সম্পাদক খান আসাদ, কোষাধ্যক্ষ শহুদুল হক ভূঁইয়া, প্রচার সম্পাদক শেখ এ সবুর, দফতর সম্পাদক খোন্দকার জিল্লুর রহমান, আইন সম্পাদক এড. আশরাফ, সমাজকল্যাণ সম্পাদক এড. হাবিবুর রহমান, শ্রম সম্পাদক ইঞ্জি: ওসমান গনী, নুর আলম প্রমুখ।
সংবাদ প্রেরক – কাজী এ.এ কাফী, অতিঃ মহাসচিব