বাণিজ্য চুক্তিকে খয়রাতি চুক্তি বলা নিকৃষ্ট মানসিকতার প্রমাণ

সম্প্রতি চীন সরকার কর্তৃক এশিয়া প্যাসিফিক ট্রেড এগ্রিমেন্ট অনুযায়ী বাংলাদেশের পণ্য চীনা বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুবিধা ঘোষণা করায়, গাত্রদাহ থেকে বিভিন্ন ভারতীয় মিডিয়ায় একে খয়রাতি চুক্তি বলায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দ। আজ এক বিবৃতিতে দলীয় সভাপতি এড. বদরুদ্দোজা সুজা ও মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের উপরোক্ত মন্তব্য করে বলেন, বাণিজ্য চুক্তিকে খয়রাতি চুক্তি বলা নিকৃষ্ট মানসিকতার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। বাংলাদেশ সরকার দীর্ঘদিন যাবত চীনের সাথে বাণিজ্য ভারসাম্য বজায় রাখার স্বার্থে চীনের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার আদায়ের জন্য জোর তৎপরতা চালিয়ে আসছিল, যা অবশেষে সফলতার মুখ দেখেছে। বাংলাদেশের বাণিজ্যিক কূটনীতির এ সফলতাকে ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে খয়রাতি বলাটা একটি স্বাধীন স্বার্বভৌম রাষ্ট্রকে চরম ভাবে অবমাননা করার শামিল।

BML SECRETARY, Kazi Abul Khair

গণমাধ্যমের এডিটর পদটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সন্মানের, যাকে সারাবিশ্বেই একজন বুদ্ধিজীবী হিসাবে বিবেচনা করা হয়। যে সকল গণমাধ্যম প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র বিষয়ে এ ধরনের অপমানসূচক শব্দ ব্যবহার করে সে সকল প্রতিষ্ঠানের এডিটর সহ সংবাদকর্মীদের মান, যোগ্যতা ও শিষ্টাচার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন নেতৃবৃন্দ। বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে ফাটল ধরাতে এ ধরনের মিডিয়া কর্মীরা নিয়োজিত কিনা তা ভারতীয় সরকারের বিবেচনার বিষয়। তবে ভারত সরকার যদি এ বিষয়ে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকে তবে, ভারত এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে তার শেষ মিত্র রাষ্ট্রটিও হারাবে। ভারতের সাথেও বাংলাদেশের বাণিজ্য ভারসাম্যহীন। চীনের শুল্কমুক্ত সুবিধা ঘোষণায় যাদের গাত্রদাহ হচ্ছে তারা সামর্থ্য থাকলে ভারতীয় বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের কার্যকর শুল্কমুক্তির জন্য জোরালো দাবী তুলুক। অন্য দেশের প্রদত্ত সুবিধায় তাদের গায়ে জ্বলুনি কেন তা আমাদের বোধগম্য নয়। নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে অবিলম্বে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে আপত্তি ও প্রতিবাদ জানানোর জোর দাবী জানান।
সংবাদ প্রেরক, কাজী এ.এ কাফী, অতিঃ মহাসচিব, ০১৮১৭০১৪৪৪০