বিএনপির রাজশাহী মেয়র প্রার্থী বুলবুল: নির্বাচনে অনিয়ম

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। তিনি লিটনের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ‘একজন প্রার্থী প্রচার শুরুর প্রথম দুদিনে চার কোটি টাকার পোস্টার, প্লাকার্ড ও ফেস্টুন লাগিয়েছেন। তাঁকে প্রশ্ন করতে চাই, কে দিল এত টাকা?’বিএনপির মেয়র প্রার্থী অভিযোগ করেন, রাজশাহীতে হাইব্রিড আওয়ামী লীগ বিএনপির কর্মীদের সঙ্গে এমন আচরণ করছে, যা দুর্বিষহ ও নির্মম। তাদের চাপের কারণে গণমাধ্যমও সঠিকভাবে এই নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরতে পারছে না।
বুলবুল অভিযোগ করেন, বিশেষ একটি জেলার অতি উৎসাহী পুলিশ দিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপরে নির্যাতন করা হচ্ছে। রাজশাহীর পুলিশ এগুলো করছে না। তিনি নগরের কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসিকে প্রত্যাহারের দাবি জানান।
বুলবুল বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীদের ঘরে ঘরে অভিযান চালিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। নতুন মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। নগরীতে কোনো বোমা বা ককটেল ফাটার আওয়াজ কেউ শোনেনি। অথচ নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে বোমাবাজির মামলা দিয়েছে পুলিশ। তিনি বিএনপি নেতা-কর্মীদের নামে যে বোমাবাজির মামলা দেওয়া হয়েছে, সেটার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন।
সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের খায়রুজ্জামান লিটনের বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে ভয় দেখিয়ে তাঁর পক্ষে কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বুলবুল।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও রাজশাহী সিটির সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু বলেন, গত কয়েক দিনে তাঁদের ২৯ জন নেতা-কর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। শত শত নেতা-কর্মীকে ধরার জন্য অভিযান চালিয়েছে। তিনি আরও বলেন, যতই বাধা দিক, পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার-হয়রানি করুক সরকার, তারপরও বিএনপির নেতা-কর্মীরা জীবন বাজি রেখে নির্বাচন করবেন। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবেন। বিজয় ছিনিয়ে আনবেন। ১৯৭৩ সালেও রাজশাহীতে নৌকার ভরাডুবি হয়েছে। এটা মনে রাখতে হবে।
মিনু বলেন, খুলনা ও গাজীপুর নির্বাচনের পরে তাঁরা রাজশাহীতে নির্বাচনের ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ আশা করেছিলেন। কিন্তু এই নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়েছে।
রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক বলেন, গত রাতে অলকার মোড়ে পোস্টার লাগানোর সময় তাঁদের একজন কর্মীকে সরকারি দলের লোকজন মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট জেলা বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেনসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। –