বৃষ্টি বন্দনা দিয়ে আত্মপ্রকাশ করলো গানের দল ৎ

‘বৃষ্টি বন্দনা’ দিয়ে আত্মপ্রকাশ করলো গানের দল ৎ। বৃষ্টি বন্দনা দুই বাংলার লোকগানের জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী অমর পালের গাওয়া স্বল্পশ্র“ত একটি লোকগান। ১৯ মে ২০২১ বুধবার অমর পালের শততম জন্মদিনে দেশের স্বনামধন্য সঙ্গীত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সাউন্ডটেক থেকে গানটি মিউজিক ভিডিওসহ প্রকাশিত হয়েছে। প্রচলিত সুরের এই গানটির গীতিকার সুরেন চক্রবর্তী। বৃষ্টি বন্দনা’র রেকর্ডিংয়ের কাজ করেছে স্টুডিও নোট রেকর্ডস্।গানটিতে কন্ঠ দিয়েছে ৎ ব্যান্ডের প্রধান কন্ঠশিল্পী সোহেল পারভেজ শামসী। গানে অংশ নেয়া দলের অন্য সদস্যরা হচ্ছেন জহিরুল ইসলাম বাবু (ঘাটাম), শান্ত শান (ড্রামস্), মুস্তাকিম আবীর (বাঁশী), আসিফ ইকবাল (গিটার), রাকিব হোসেন (বেইজ), এস এম শামসী সোহাগ (পার্কাসন) এবং আবদুল্লাহ্ আল ফাত্তাহ্ তুহিন (গিটার)।
স্বল্পশ্র“ত বা, প্রায় হারাতে বসা লোকসঙ্গীত খুঁজে বের করার পাশাপাশি সেসব গান পরিবেশনার লক্ষ্য নিয়ে ২০১৬ সালের শেষদিকে প্রতিষ্ঠিত হয় গানের দল ‘ৎ’। স্বনামধন্য বাউল সাধকদের গানের পাশাপাশি স্বল্প পরিচিত, অপরিচিত ও বর্তমান সময়ের বাউল গীতিকবিদের গানও আছে তালিকায়। সব ধরণের লোকগান পরিবেশন করলেও স্বল্পশ্র“ত গান নিয়ে কাজ করাই দলের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।
আর এসব স্বল্পশ্র“ত গান সংরক্ষণের মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে গানগুলো পৌঁছে দেয়া এই পরিকল্পনার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য। গানের কথা ও সুর অপরিবর্তিত রেখে এবং গানের মূল ভাব রস অক্ষুন্ন রেখে লোকজ ও পাশ্চাত্যসহ নানা ধরনের বাদ্যযন্ত্রের মেলবন্ধনের মধ্য দিয়ে গানগুলো উপস্থাপনের চেষ্টা করছে ৎ। দলের গান তালিকায় আছে বাউল স¤্রাট ফকির লালন শাহ্, দুদ্দু শাহ্, পাঞ্জু শাহ্, বিজয় সরকার, রজ্জব দেওয়ান, হাছন রাজা, রাধারমণ, ভবা পাগলা, সনাতন দাস বাউল, জৈষ্ঠ্য গোপাল, জালাল উদ্দিন খাঁ, মাতাল রাজ্জাক, শাহ্ আব্দুল করিমসহ পরিচিত ও অপরিচিত বহু সাধক বাউলের
গান। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও আছেন তালিকাজুড়ে। আছে নতুন প্রজন্মের গীতিকবিদের গান। এছাড়া জারি, সারি, মুর্শিদী, দেহতত্ত্ব, ভাটিয়ালী, ভাওয়াইয়া, মেয়েলী গীত, টপ্পা, টুসু, আলকাপ, গম্ভীরাসহ বাংলা লোকগানের সবগুলো ধারা নিয়েই কাজ করে চলেছে গানের দল ৎ।
বৃষ্টি বন্দনা নিয়ে আমাদের দেশে বহুলশ্র“ত ও জনপ্রিয় একটি লোকগান ‘আল্লাহ মেঘ দে, পানি দে’। ভাওয়াইয়া স¤্রাট আব্বাস উদ্দীন আহমেদের গাওয়া এই গানটি ১৯৪০ সালে প্রকাশিত হয়। এর গীতিকার আব্দুল হাই মাশরেকি এবং সুরকার গিরীন চক্রবর্তী। এর বেশ কয়েক বছর পর জনপ্রিয় লোকসঙ্গীত শিল্পী অমর পাল একই বিষয়ে প্রায় একই ঢঙে আরেকটি গান পরিবেশন করেন ‘আল্লাহ মেঘ দে মেঘ দে রে আল্লাহ খরায় পরাণ যায়’। দুইটি গানের বিষয়বস্তু ও তাল অভিন্ন এবং
গানদু’টির চলনেও বেশ মিল রয়েছে। আব্বাসউদ্দিনের গাওয়া গানটি এপার ও ওপার বাংলার বিভিন্ন প্রজন্মের কন্ঠশিল্পী আজব্দি গেয়ে চলেছেন। তবে অমর পালের গাওয়া গানটি পরবর্তীতে আর কোন কন্ঠশিল্পীকে গাইতে শুনা যায় না। ৎ
পরিবেশিত অমর পালের গাওয়া গানটির অলঙ্করণে এর সাথে আব্বাস উদ্দীন আহমেদের গাওয়া গানটির অংশবিশেষ যুক্ত করা হয়েছে।