বোরকা পরা ছাত্রীর প্রতি অশালীন মন্তব্যকারী প্রধান শিক্ষকের শাস্তি দাবি

বোরকা পরার অপরাধে চট্টগ্রাম পতেঙ্গার মাইজপাড়া মাহমুদুন্নবী চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম এ কাশেম কর্তৃক ছাত্রী ও অভিভাবককে নাজেহাল করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ৯৫ ভাগ মুসলমানের এদেশে মুসলমান মেয়েরা পর্দা বা বোরকা পরিধান করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বোরকা পরার কারণে ছাত্রীকে ক্লাস থেকে বের করে দেয়া, নাজেহাল করা, ছাত্রীদের মায়েদের প্রতি খারাপ আচরণ করা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। কোন মুসলমান মেয়ে যদি স্বেচ্ছায় ইসলামের প্রতি আনুগত্যশীল হয়ে হিজাব পরিধান করে এতে দোষের কি আছে। তাছাড়া নৈতিকতাহীন যুবসমাজের লোলুপদৃষ্টি থেকে নিজেকে রক্ষার অন্যতম হাতিয়ার হলো পর্দা বা হিজাব। সরকার ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর আইন পাশ করলেও ইভটিজিং কোনভাবেই বন্ধ হচ্ছে না। বরং দিন দিন নারী নির্যাতন, খুন, ধর্ষণ ও অশালীন উক্তি বেড়েই চলছে। তারপরও ইসলামের প্রতি মানুষের প্রবল আগ্রহ দিন দিন বেড়েই চলছে। এমতাবস্থায় শিক্ষক নামের কলঙ্করা ছাত্রীদেরকে নিজের ভোগ্যপণ্য হিসেবে ব্যবহার করতেই মূলত পর্দার প্রতি তাদের জ্বালা। তিনি মাইজপাড়া মাহমুদুন্নবী চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম এ কাশেম-এর কঠোর শাস্তি দাবি করে বলেন, যেখানে শালীনতা শিক্ষা দেয়া শিক্ষকের দায়িত্ব ও কর্তব্য, সেখানে শিক্ষক কেন ছাত্রীদেরকে অনৈতিকতার প্রতি আগ্রহশীল করে তোলে তা খতিয়ে দেখতে হবে এবং দায়ীদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। – প্রেস বিজ্ঞপ্তি।