ভারত বিভক্তির প্রস্তাবক, শে রে বাংলা এ কে ফজলূল হক- মুসলিম লীগ

১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ লাহোরে অনুষ্ঠিত নিখিল ভারত মুসলিম লীগের প্রতিনিধি সম্মেলনে অখণ্ড বাংলার প্রথম মুসলিম মুখ্যমন্ত্রী শের-এ-বাংলা খ্যাত এ.কে ফজলুল হক কর্তৃক উত্থাপিত ”ব্রিটিশ ভারতের ভৌগলিক নৈকট্য সমন্বিত ইউনিট গুলোর প্রয়োজন অনুসারে স্থানিক রদবদল পূর্বক সীমান্ত চিহ্নিত করিয়া অঞ্চল গঠন করিতে হইবে এবং মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল যেমন, ভারতবর্ষের উত্তর-পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চল সমন্বয়ে অবশ্যই স্বাধীন রাষ্টসমুহ গঠন করিতে হইবে, যেখানে অন্তর্ভূক্ত ইউনিটগুলো স্বায়ত্ত শাসিত ও সার্বভৌম হইবে”- ঐতিহাসিক এই প্রস্তাবটি কায়েদে আযম মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলন সর্বসন্মতিক্রমে সমর্থন করে।ফলে ১৯৪৭ সালের ১৪ই আগষ্ট ভারত বিভক্ত করে পাকিস্তান এবং ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের ঘটনাটি ঐতিহাসিকভাবে লাহোর প্রস্তাবের ফসল।
ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব দিবস উপলক্ষে ২৩ মার্চ বাদ যোহর বাংলাদেশ মুসলিম লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় দলীয় নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।স্থায়ী কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, দলীয় মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, স্থায়ী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, অতিঃ মহাসচিব আকবর হোসেন পাঠান, সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এইচ খান আসাদ, , দফতর সম্পাদক খোন্দকার জিল্লুর রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলাম, নূর আলম প্রমুখ।
সভায় আরও বলা হয়, শের-এ-বাংলা কর্তৃক উত্থাপিত লাহোর প্রস্তাব গৃহীত হবার পর শের-এ-বাংলা এ.কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা আকরাম খাঁ, পণ্ডিত আবুল হাশিম, ফজলুল কাদের চৌধুরী, খান-এ-সবুর, শেখ মুজিবর রহমান প্রমুখ তৎকালীন মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দ বাংলাকে রাষ্ট্র করতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেন। আমাদের পূর্ব পুরুষদের এই ধারাবাহিক প্রচেষ্টা, ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের উপর সকল দেশের আগ্রাসন ও আধিপত্যের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য সভায় দেশবাসীর প্রতি আহবান জানানো হয়।
সংবাদ প্রেরক, কাজী এ.এ কাফী, অতিঃ মহাসচিব – ০১৮১৭০১৪৪৪০১