রাশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পেট্রোজাভোদস্ক মাস পরিদর্শন

মস্কো, ১৭ জুন- রাষ্ট্রদূত কামরুল হাসানের নেতৃত্তে এক প্রতিনিধিদল পেট্রোজাভোদস্ক মাস পরিদর্শন করেন। কারখানা পরিদর্শনের বাংলাদেশী প্রতিনিধিদলে ছিলেন রাশিয়ার নিযুক্ত বাংলাদেশের পারমাণবিক শক্তি বিষয়ক পরামর্শক শুভাশিস সরদার,এবং রোসাট্ম রাষ্ট্রীয় কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ত দেন মি সেরগেই স্ত্রেলতসভ , ডেপুটি ডিরেক্টর (লোকালাইজেশন অফ ম্যাটেরিয়াল এন্ড ইকুপমেন্ট) এবং মি সেরগেই অসিপেঙ্ক সহকারী প্রকল্প পরিচালক (একুইপমেন্ট সাপ্লাই)। এইএম টেকনোলোজির পেট্রোজাভোদস্কমাস শাখা (এটোমেনাগোম্যাসের শাখা ও রাশিয়ান রাষ্ট্রীয় পারমানবিক শক্তি কর্পোরেশনের প্রযুক্তি শাখা, রাশিয়ান প্রযুক্তি ইউনিয়নের ক্যারেলিন রিজিওনাল উইং এর সদস্য) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের স্বাগত জানায়।
মি পাভেল মারচেঙ্ক , পরিচালক পেট্রোজাভোদস্কমাস অতিথিদের স্বাগত জানায় । তিনি এই কারখানাটির ইতিহাস বর্তমানে চলমান কর্মকাণ্ডসমুহ এবং রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য নির্মাণাধীন যন্ত্রপাতিসমুহের অগ্রগতি সম্পর্কে অতিথিদের অবগত করেন। এই পরিদর্শনে প্রতিনিধিগণ পারমাণবিক যন্ত্র প্রযুক্তি সম্পর্কে অবগত হন, যন্ত্রপাতি প্রস্তুতি প্রক্রিয়াসহ রুপ্পুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রপাতি নির্মাণও পরিদর্শন করেন। এগুলোর মধ্যে ছিল মূল শীতলীকরণ পাইপলাইন এর ক্ল্যাডিং পাইপ ব্ল্যাংক , প্রেসারাইজার পার্টস ,রিয়েক্টর কুলিং পাম্প।
পেট্রোজাভোদস্ক মাস পরিচালক মি পাভেল মারচেঙ্ক আরও বলেন বাংলাদেশের অর্ডারটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করা আমাদের জন্য একটি সম্মান ও দায়িত্ব । পরিচালক বলেন ‘’আজ আমরা আমাদের অতিথিদের শুধুমাত্র পারমাণবিক যন্ত্রপাতির প্রস্তুতি দেখাই নি I আমরা রুপ্পুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রায় প্রস্তুত যন্ত্রাংশের নির্মাণ প্রক্রিয়া দেখিয়েছি। পেট্রোজাভোদস্কমাস এই অর্ডার এর প্রথম অংশ খালাস করতে শুরু করেছে। এর প্রথম আইটেম হিসেবে ইউনিট ১ এর রিয়েক্টর কুলেন্ট পাম্প কারখানা থেকে পাঠানো হবে। এটিকে প্রথমে সড়কপথে সেইন্ট পিটার্সবার্গে পাঠানো হবে এবং সেখান থেকে জাহাজে করে বাংলাদেশের বন্দরের উদ্দ্যেশ্যে পাঠানো হবে।‘’
রাষ্ট্রদূত কামরুল হাসান বলেন ‘আমাদের এই পরিদর্শনের মূল উদ্দেশ ছিল রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যন্ত্রপাতি প্রস্তুতি প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করা। আমরা অত্যন্ত আধুনিক এবং উচ্চ ক্ষমতাশীল যন্ত্রপাতি দেখেছি। এর ফলে আমরা এই কারখানায় প্রস্তুতকৃত রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যন্ত্রপাতির মান ও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত নই। ‘’
মি সেরগেই অসিপেঙ্ক বলেন ‘আমরা আমাদের বাঙ্গালী ক্রেতাদের বিশ্বাসের মর্যাদা রাখতে বদ্ধ পরিকর। এই পরিদর্শনের মাধ্যমে রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যন্ত্রপাতি্র চাহিদা অনুযায়ী ও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হবে তা প্রতিনিধিদলকে দেখাতে সমর্থ হয়েছি।‘’