রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব, নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ফেরত নিতে হবে

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, রোহিঙ্গা মুসলমানদের পূর্ণ নাগরিকত্ব, নিরাপত্তা, বাড়ি-ঘর ও সহায়-সম্পদ নিশ্চিত করে তাদেরকে স্বদেশে ফেরত এবং স্বাধীনভাবে চলাচলের অধিকার দেয়ার নিশ্চয়তা দিয়েই মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদেরকে ফেরত নিতে হবে। রোহিঙ্গা মুসলমানদের প্রত্যাবাসন ইস্যুতে একদিকে মিয়ানমার প্রতারণা ও ছলচাতুরি করছে। অন্যদিকে বিশ^স¤প্রদায় কার্যকর উদ্যোগের পরিবর্তে পিঠ চাপড়িয়ে বাংলাদেশকে মোহগ্রস্ত রাখতে চাচ্ছে।তিনি বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের তত্ত¡াবধানে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিশ্চিত করতে হবে। কোনক্রমেই মিয়ানমার সরকারের মিথ্যা আশ্বাসে পা দেয়া যাবে না। পাশাপাশি প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘের মধ্যস্ততা ও উপস্থিতি এবং ফিরে যাওয়ার পরও রোহিঙ্গাদের সাথে কেমন আচরণ করা হচ্ছে, সেই তদারকির সুযোগ থাকতে হবে। এসব দাবি পুরণে মিয়ানমারের কোন তালবাহানা, গড়িমসি ও দায় এড়ানোর সুযোগ নেই।
ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, কাশ্মীর প্রসঙ্গে ‘নিশির ভোটে নির্বাচিত’ সরকারের বক্তব্যে জনমত প্রতিফলিত হয়নি। বাংলাদেশের ষোল কোটি মুসলমান কাশ্মীরের নির্যাতিত জনগণের পক্ষে রয়েছে। সরকার এটাকে ‘ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলে এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। বরং মানবিকতা, নির্যাতিতের পক্ষে দাঁড়ানোর সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা এবং ভ্রাতৃত্ববোধের চেতনা থেকে কাশ্মীরীদের পাশে দাঁড়াতে হবে। ভারতের আধিপত্যবাদী মানসিকতার কারণে কাশ্মীর বিশ্বের সবচেয়ে বড় উম্মুক্ত কারাগারে পরিণত হয়েছে।
আজ বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের জরুরী বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি উপর্যুক্ত কথা বলেন। সভায় মহানগর সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, সেক্রেটারী মাওলানা আরিফুল ইসলামসহ মহানগর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দুই বছরেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু এবং জেনোসাইডের বিচারে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করতে না পারায় সরকারের কুটনৈতিক ব্যর্থতাকে দায়ী করে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে শীঘ্রই প্রত্যাবাসন শুরু করতে সরকারেকে আন্তরিক, কার্যকর ও যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। – প্রেস বিজ্ঞপ্তি