শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে ছাত্র ঐক্যের বিকল্প নেই -পীর সাহেব চরমোনাই

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেন, ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর পূর্ব পাকিস্তান তথা বর্তমান বাংলাদেশের মানুষ সার্বিকভাবে নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। এর বিভিন্ন কারণের মধ্যে অন্যতম প্রধান কারণ হল শাসন ক্ষমতা পশ্চিম পাকিস্তানের হাতে থাকা। আমাদের মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার হরণের প্রচেষ্টা ও সার্বিকভাবে রাষ্ট্রীয় সকল অধিকার কেড়ে নেয়ায় এদেশের মানুষ জেগে ওঠেছিল। আর সেই জেগে ওঠার চুড়ান্ত ফলাফল হল আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ। আমাদের মনে রাখতে হবে, বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন এবং একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ ছাত্র সমাজের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। সুতরাং দেশকে সার্বিক দুরাবস্থা থেকে মুক্ত করে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্র সংগঠনসমূহের ঐক্যবদ্ধতা জরুরী।
গত ১৮ রমজান ১৪৪০ হিজরী মোতাবেক ২৪ মে’১৯ ইং শুক্রবার বিকাল ৩টায় রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ শাংগ্রি-লা ইন রেস্টুরেন্ট-এ ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত ইফতার মাহফিল শেষে আগত বন্ধুপ্রতিম ছাত্র সংগঠনসমূহের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভা ও চা-চক্রে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
এসময় বন্ধুপ্রতিম ছাত্র সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক দৈন্যদশার চিত্র তুলে ধরেন। তাঁরা বলেন- আজ বাংলাদেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা ও ভোটাধিকার নেই। স্বাধীনভাবে বেচে থাকার নিশ্চয়তা নেই। এমতাবস্থায় একটি দেশ চলতে পারেনা। জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে পরিবর্তনের অঙ্গিকারে পীর সাহেব চরমোনাইকে জাতির নেতৃত্ব দিতে হবে। উপস্থিত ছাত্র সংগঠনসমূহের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ পীর সাহেব চরমোনাইকে জাতীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট যেকোন কর্মসূচিতে সহযোগীতা ও সহাবস্থানের প্রতিশ্রুতি দেন। এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনকে সাথে নিয়ে ছাত্রদের অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আশ্বাস দেন।
ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি শেখ ফজলুল করীম মারুফ-এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মাদ মুস্তাকিম বিল্লাহর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভা ও চা
-চক্রে বন্ধুপ্রতিম ছাত্র সংগঠনসমূহের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাগপা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রকিবুল হাসান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক মাহফুজুর রহমান খান, বাংলাদেশ ন্যাশনাল স্টুডেন্টস পার্টির আহবায়ক রুবেল আহমেদ, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সভাপতি তোফায়েল গাজালি, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস এর কেন্দ্রীয় সভাপতি আতাউল্লাহ আল হুসাইন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসউদ খান, বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ আব্দুর রহমান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বিএসএল এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. শাহজাহান আলী সাজু, এন এস পি’র যুগ্ম আহবায়ক নাজমুল ইসলাম, ছাত্র সমাজ এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. আল আমিন সহ বন্ধুপ্রতিম ছাত্র সংগঠনসমূহের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
পীর সাহেব চরমোনাই ছাত্র সংগঠনসমূহের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বর্তমানে ছাত্র রাজনীতির নামে দেশে অপরাজনীতি করছে কিছু অশুভ মহল। তোমরা নিজেদেরকে আদর্শিক নেতা হিসেবে গড়ে তোলার মাধ্যমে এদেশের ছাত্রসমাজকে আদর্শিক ছাত্রসমাজ হিসেবে গড়ে তুলবে এটাই তোমাদের কাছে প্রত্যাশা। তাই কুরআন নাজিলের এই মাসে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে আমাদের ব্যক্তিজীবন, পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন এবং রাষ্ট্রীয় জীবন গড়ার শপথ নিতে হবে। এসময় পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, তোমাদের সাথে আমরা সবসময় বসতে, কথা বলতে প্রস্তুত। যেকোন বিষয়ে আমাকে তোমরা পাশে পাবে ইনশাআল্লাহ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমাদ আব্দুল কাইউম, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ শেখ ফজলে বারী মাসউদ, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এম. হাছিবুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মাদ মুস্তাকিম বিল্লাহ, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল করীম আকরাম, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আব্দুজ্জাহের আরেফী, প্রশিক্ষণ সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ আল আমিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্দুল জলিল, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রিয়াদ, প্রচার ও যোগাযোগ সম্পাদক কে.এম. শরীয়াতুল্লাহ, প্রকাশনা সম্পাদক ইউসুফ আহমাদ মানসুর, অর্থ ও কল্যাণ সম্পাদক গাজী মুহাম্মাদ ওসমান গনী, কলেজ সম্পাদক এম.এম শোয়াইব, আলিয়া মাদ্রাসা সম্পাদক সাইফ মুহাম্মাদ সালমান, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক নুরুল বশর আজিজী, সদস্য এম এ হাসিব গোলদার, মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, ইবরাহীম হুসাইন প্রমূখ।
বার্তা প্রেরক – কে এম শরীয়াতুল্লাহ, কেন্দ্রীয় প্রচার ও যোগাযোগ সম্পাদক
ভারতে মধ্যপ্রদেশের একটি গ্রামে অটোরিকশা করে গরুর গোশত নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে এক মুসলিম দম্পতিসহ আরো দুই ব্যক্তিকে গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। আজ এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ভারতে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গোরক্ষকদের নির্যাতনের শিকার হলেন এক নারীসহ তিন মুসলিম। এসময় জোর করে তাদেরকে দিয়ে ‘জয় শ্রী রাম’ বলতে বাধ্য করা হয়। এধরণের ঘটনা মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভুতিতে চরম আঘাত এবং চরম মুসলিম বিদ্বেষীর পরিচায়ক। তিনি বলেন, ভারত বার বার মুসলমানদের তাদের আক্রমনের লক্ষ্যস্থলে পরিণত করেছে। ভারত যদি মুসলিম বিদ্বেষী মনোভাব পরিহার না করে এবং মুসলিম নির্যাতন বন্ধ না করে তাহলে মুসলমানদের ঘুরে দাড়ানোর ভিন্ন পথ খুঁজে বের করা ছাড়া কোন পথ খোলা থাকবে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার বরাবরই ভারতকে সবকিছুতে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। কিন্তু বিনিময়ে ভারত বাংলাদেশকে প্রতিদিন সীমান্তে লাশ উপহার দিচ্ছে। যা চরম বেদনাদায়ক। বাংলাদেশের দুর্বল পররাষ্ট্রনীতির কারণে ভারত বাংলাদেশকে কোন গুরুত্ব দিচ্ছে না। – প্রেস বিজ্ঞপ্তি।