সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নিরাপদ নাহলে, সড়ক নিরাপদ হবে কিভাবে

সরকার সংবিধান ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহের সুরক্ষাকরণে সাংবিধানিকভাবে দায়বদ্ধ। কেননা রাষ্ট্রের মূল নিয়ন্ত্রক হলো এসব প্রতিষ্ঠান। দলমত নির্বিশেষে দেশবাসী এসকল প্রতিষ্ঠানের প্রতি আনুগত্য ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করবে এটাই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মূল কথা। মানুষের শেষ আশ্রয়¯’ল হবে এসব প্রতিষ্ঠান কিংবা তার কর্তা ব্যক্তিগণ। কিš‘ আমরা কী দেখছি? বর্তমান সরকার দেশের এসব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছে। ফলে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদসমূহের প্রতি মানুষের অনা¯’া আজ চরমে পৌঁছেছে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে একটি গৃহপালিত প্রতিষ্ঠানে রূপায়িত করা হয়েছে। মানবাধিকার কমিশন নিজের অধিকার হারিয়ে সরকার ও সরকারী দলের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। দেশ ও দেশের সাধারণ নাগরিকদের জান মালের নিরাপত্তা ও মানবাধিকার রক্ষায় তার কোন কার্যক্রমই নেই। জনগণের ট্যাক্সের পয়সায় কেবল মাসিক মাহিনা গ্রহণ ছাড়া আর কোন কাজ আছে বলে দেশবাসীর জানা নেই। এমনকি আদালতকেও দল ও দলীয় ব্যক্তির স্বার্থে ব্যবহার করে মানুষের আ¯’াহীন প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করা হয়েছে।
গতকাল বিকালে ঢাকা-১৮ আসনে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির এক গুরুত্বপূর্ণ সভায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর এর সভাপতি ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন উপ-নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। ঢাকা-১৮ আসনে পীর সাহেব চরমোনাই মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মুফতী মাছউদুর রহমান। বক্তব্য রাখেন, আলহাজ আলাউদ্দিন, মাওঃ জাকারিয়া, আবু জাফর আলম, আঃ রাজ্জাক, আলহাজ্ব ঈমান আলী দেওয়ান, হাজী মনিরুজ্জামান, মুফতী এনায়েতুল্লাহ, মিযানুর রহমান, মাওঃ আব্দুর রহমান প্রমুখ।
প্রিন্সিপাল মাসউদ আরো বলেন, শেয়ার বাজার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ লুট, হলমার্ক, বিসমিল্লাহ গ্রুপের টাকা আত্মসাৎ ইত্যাদি প্রমাণ করে দেশের আইন ও বিচার ব্যব¯’া কোথায় গিয়ে ঠেকেছে। কোথাও কোন স্বস্তি ও নিরাপত্তা নেই। – —ইসলামী আন্দোলন ঢাকা উত্তর সভাপতি