সোহরাওয়ার্দী অখন্ড স্বাধীন বাংলা চেয়েছিলেন -মুসলিম লীগ

হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বাংলাদেশ মুসলিম লীগের নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ লাহোরে অনুষ্ঠিত নিখিল ভারত মুসলিম লীগের প্রতিনিধি সম্মেলনে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শের-এ বাংলা এ.কে. ফজলুল হক কর্তৃক উত্থাপিত দু’টি স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাবটি গৃহিত হয়। এ প্রস্তাব মতে ১৯৪৭ সালে বঙ্গীয় মুসলিম লীগের সাবেক সম্পাদক ও অখন্ড বাংলার শেষ মুখ্যমন্ত্রী হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী বাংলাকে অখন্ড অবস্থায় স্বাধীন করার উদ্যোগ নেন।

নিখিল ভারত মুসলিম লীগের সভাপতি কায়েদে আজম মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ অখন্ড স্বাধীন বাংলার প্রতি সমর্থন জানান। কিন্তু কংগ্রেস নেতা মোহন দাস করম চাঁদ গান্ধী, পন্ডিত জহর লাল নেহেরু, সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল প্রমুখ নেতারা প্ঞ্জাাবের মতো বাংলাকেও দ্বিখন্ডিত করার ব্যাপারে অনমনীয় থাকেন। ফলে বঙ্গীয় মুসলিম লীগের সকল প্রচেষ্টা ও উদ্যোগকে ব্যর্থ করে দিয়ে কংগ্রেসের পরামর্শে ভাইসরয় এডমিরাল লর্ড মাউন্ডব্যাটেল ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট বাংলাকে ভাগ করলে পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম বাংলা নামে দু’টি প্রদেশ গঠিত হয়।
পার্টির স্থায়ী কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় দলীয় নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সোহরাওয়ার্দী গণতন্ত্রের পূঁজারী ছিলেন। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী থাকাকালীন তিনি ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের প্রথম শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করেন। তিনি ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। অখন্ড বাংলার ও পাকিস্তানের রাজনীতির ইতিহাসে হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী এক অনন্য সাধারণ নেতারূপে পরিগণিত হয়ে আছেন।
আজ শনিবার সকাল ১১টায় দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, সহ-সভাপতি কুদরতউল্লাহ ও নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত মহাসচিব আকবর হোসেন পাঠান এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এডভোকেট আবু সাঈদ মোল্লা, হাবিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা এডভোকেট আফতাব হোসেন মোল্লা, নূর আলম, এডভোকেট আশরাফ আলী, আবদুল আলীম প্রমুখ।
সংবাদদাতা, আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, আহবায়ক, প্রচার উপ-কমিটি