স্বাধীনতা রক্ষার দায়িত্ব জনগণকেই নিতে হবে -মুসলিম লীগ

১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পূর্বে পালাম বিমানবন্দরে যাত্রা বিরতি কালে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে দিয়ে ভারতীয় সেনা বাহিনী প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি আদায় করে বাংলাদেশকে প্রকৃত অর্থে স্বাধীন করেছেন। বঙ্গবন্ধু স্বাধীন থাকার যে চেতনা আজন্ম লালন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই চেতনা ধারণ করলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবার আশংকা থাকে না। ৪৭ তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আজ ২৪ মার্চ বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ মুসলিম লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
গত ১৬ই মার্চ মুম্বাইয়ের এক সমাবেশে আরএসএস কেন্দ্রীয় নেতা ইন্দ্রেশ কুমার ২০২৫ সালের মধ্যে ১৯৪৭ পূর্ব ভারত গঠনের যে ঘোষণা দিয়েছেন তার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৯৪৬ সালে বাংলার মুসলমানরা দিল্লীর শাসনের বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে ভারত বিভক্ত করেছে এবং ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টি করার পর জনগণ সেই স্বাধীনতা রক্ষার জন্য আমরণ লড়াই করবে তবু দিল্লীর আধিপত্য মেনে নেবে না।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে দলীয় মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, তিনদিকে ভারত বেষ্টিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতির স্বকীয়তা রক্ষার জন্য জনগণকে সদা সজাগ থাকার আহ্বান জানান। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, সহ সভাপতি মোঃ কুদরত উল্ল্যাহ, অতিঃ মহাসচিব আকবর হোসেন পাঠান, কাজী এ এ কাফী, সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এইচ খান আসাদ, কোষাধ্যক্ষ শহুদুল হক ভূঁইয়া, প্রচার সম্পাদক শেখ এ সবুর, দফতর সম্পাদক খোন্দকার জিল্লুর রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলাম, এ্যাড. হাবিবুর রহমান প্রমুখ। সভা শেষে দেশ ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করা হয়।
সংবাদ প্রেরক – আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, সদস্য, স্থায়ী কমিটি