নবাব সিরাজ-উ-দ্দৌলা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক -বিএমএল

পলাশীর প্রান্তরে ষড়যন্ত্রকারী-মোনাফেকদের বিশ্বাসঘাতকতা দুইশত বছর দেশের স্বাধীনতা সূর্য অস্তমিত করে দিয়েছিল। দেশ-জাতির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ব্রিটিশ বেনিয়াদের হাতে লুণ্ঠিত হতে চলেছে বুঝতে পেরেই নবাব সিরাজ-উ-দ্দৌলা জীবন দিয়ে তা প্রতিহতের চেষ্টা চালিয়েছিলেন। নবাব সিরাজ-উ-দ্দৌলা আজো তার সাহসী ঐতিহাসিক ভূমিকার জন্য ইতিহাস ও মানুষের হৃদয়ে বেঁচে আছেন। তিনি ছিলেন উপমহাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। আজ ০৩ জুলাই বেলা তিনটায় বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উ-দ্দৌলার ২৬২তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ আয়োজিত দলীয় পল্টনস্থ প্রধান কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক স্মরণ সভায় নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত মন্তব্য করেছেন।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে দলীয় মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের বলেন, আমাদের শিক্ষা নিতে হবে সিরাজ-উ-দ্দৌলা-মীর মদন-মোহনলালদের দেশপ্রেম ও বীরত্ব থেকে, মীর জাফর-উমিচাঁদ-জগৎশেঠদের মোনাফেকি থেকে, মোহাম্মদী বেগের নিমকহারামি থেকে, ব্রিটিশ আগ্রাসন-বাদীদের ষড়যন্ত্রের ধরণ থেকে, রবার্ট ক্লাইভের বিজয়ীর বেশে মুর্শিদাবাদ প্রবেশের সময় জনতার নীরব দর্শক হয়ে রাজনীতি থেকে নিঃস্পৃহতা প্রদর্শন থেকে। ইতিহাসের চাইতে বড় শিক্ষক আর হয় না।
সভাপতির বক্তব্যে আতিকুল ইসলাম এ মহান দেশপ্রেমিক বীর শহীদের শাহাদাৎ বার্ষিকী সরকারী উদ্যোগে জাতীয় ভিত্তিতে পালনের আহবান জানান।
আরও বক্তব্য রাখেন দলীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, অতিঃ মহাসচিব, কাজী এ.এ কাফী, সাংগঠনিক সম্পাদক খান আসাদ, প্রচার সম্পাদক শেখ এ সবুর, কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার ওসমান গনী, নূরেআলম, মোঃ মামুন প্রমুখ।
সংবাদ প্রেরক, কাজী এ.এ কাফী, অতিরিক্ত মহাসচিব