ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, ধর্ষক ও দুর্নীতিবাজদের শরীয়াহ আইনে বিচার করলে দেশে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন থাকবে না। মানুষের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ না থাকায় আল্লাহবিমুখ হয়ে বিপথগামী হচ্ছে। মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হলে শিক্ষার সকলস্তরে ইসলামী শিক্ষা তথা আল্লাহমুখি শিক্ষার বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, দেশে আইনের শাসন না থাকলে এবং নাগরিক অধিকার খর্ব হলে মানুষ অপরাধ প্রবণ হয়ে উঠে। তিনি বলেন, ইসলাম সার্বজনীন জীবন ব্যবস্থা। মানুষের কল্যাণ করাই ইসলামের মূল লক্ষ্য। কাজেই ইসলাম ছেড়ে দিয়ে অন্য বিধান তালাশ করলে তা আল্লাহ কখনো গ্রহণ করবেন না। তাই সকলকে ইসলামের সুমহান আদর্শে ফিরে আসতে হবে। মহাসচিব আরো বলেন, করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন যাবৎ ধর্মীয় মাহফিল, সভা-সমাবেশ বন্ধ থাকায় মানুষ দ্বীন বিমুখ হয়ে অপরাধের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তাই নৈতিকতা শিক্ষা ও ধর্মীয় সভা, ওয়াজ-মাহফিল করার অনুমতি দিলে মানুষের মধ্যে আল্লাহভীতি সৃষ্টি হয়ে অন্যায় থেকে ফিরে আসতে পারে।
আজ বিকেলে ঢাকার আশুলিয়াস্থ চারাবাগ কারিমিয়া মাদরাসা মিলনায়তনে আল্লামা সৈয়দ মোঃ ফজলুল করীম রহ. ইসলামিক রিচার্স সেন্টার ঢাকা জেলা উত্তর আয়োজিত ইউনিয়ন, থানা ও জেলা প্রতিনিধি সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম। ঢাকা জেলা উত্তর মারকায আহŸায়ক মাওলানা ফুরকান আহমদের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব হাজী মুহাম্মদ শাহাদাত হোসাইনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ডা. কামরুজ্জামান, হাসমত আলী, মাওলানা ইলিয়াস হোসাইন, আব্দুল মান্নানসহ থানা প্রতিনিধিগণ।
অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ বলেন, ধর্ষণ, গুম, খুন ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের ফলে করোনা মহামারির চেয়েও ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ আজ মানুষের জন্য অভিশাপ হয়ে দাড়িয়েছে। সরকারের লোকজন গুম, খুন ও ধর্ষণের মহোৎসবে মেতে ওঠে জাতিকে কলঙ্কিত করেছে।
মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেন, সন্ত্রাস, মাদক ও নারী ধর্ষণ দেশে আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষ ক্রমেই অপরাধ প্রবণ হয়ে উঠছে। আইন শৃঙ্খলার অবনতিতে এসব অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। – প্রেস বিজ্ঞপ্তি
