আইএবি সুন্নাহ বিসর্জন দিয়ে ক্ষমতার ভাগবাটোয়ারায় বিশ্বাসী নয়

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রূহানিয়াত ও জিহাদের সমন্বয়ে পরিচালিত হওয়ায় কখনো লাইনচ্যুত হয়নি। সাহাবায়ে কেরামের ন্যায় ত্যাগ ও কুরবানীর দৃস্টান্ত স্থাপনে অনন্য নজির স্থাপন করেছে।

তিনি বলেন, এ আন্দোলন কখনো সুন্নাহর খেলাফ করে ক্ষমতার ভাগবাটোয়ারায় অংশ নেয়নি। তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন, বৃটিশ বিরোধী সংগ্রামসহ সকল আন্দোলন-সংগ্রামে ওলামায়ে কেরাম, ইসলামপন্থিদের অবদান অনস্বীকার্য। ইসলাম বিজয়ী না থাকায় দেশ ও ইসলাম আজ কঠিন সময় অতিক্রম করছে। একটি ইসলামবিরোধী গোষ্ঠী ইসলামপন্থি এবং শীর্ষ ধর্মীয় নেতাদের বিরুদ্ধে সরকারকে মুখোমুখি দাড় করার চেষ্টা করছে। এই কুচক্রিমহল মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামক সংগঠনের ব্যানারে দেশের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা ও ওলামায়ে কেরামকে সরকারের মুখোমুখি করে দেশকে উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে। সরকারকে তাদের এ চক্রান্ত বুঝতে হবে। যারা এধরণের কর্মকান্ড করছে তারা ভিনদেশী পাঁচাটা গোলাম। এদের চক্রান্ত বুঝতে না পারলে দেশ ক্রমইে অস্তিরতার দিকে চলে যাবে।
আজ সোমবার বিকেলে শরীয়তপুরের পৌরসভা অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শরীয়তপুর পৌরসভা শাখার উদ্যোগে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মুফতী সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং মাওলানা ছিদ্দিকুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ছাত্রনেতা নূরুল করীম আকরাম, মাওলানা শওকত আলী, মাওলানা কেরামত আলী, মুফতী ফেরদৌস আহমদ, মুফতী তোফায়েল কাসেমী, ড. মাওলানা আবু জাফর মুহাম্মদ সালেহ, মাওলানা হাফিজুর রহমান প্রমুখ।
মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, শতকরা ৯২ ভাগ মুসলমানদের দেশে ভাস্কর্যের নামে চক্রান্ত দেশবাসী রুখে দিবে। তিনি বলেন, ভাস্কর্য না করে স্মৃতি মিনার বা স্মৃতিস্তম্ভ করুন, তাতে বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে।