কাশ্মীর ইস্যু ঐতিহাসিক কারণে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয় -মুসলিম লীগ

যারা কাশ্মীর ইস্যুকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলছেন তাদের ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দ বলেন, তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জহরলাল নেহেরু কাশ্মীর সমস্যাকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলেননি। ১৯৪৮ সালের ১লা জানুয়ারি কাশ্মীর বিরোধের সমাধান ও নিষ্পত্তির জন্য জাতিসংঘের নীতিমালার ৬ষ্ঠ অধ্যায়ের ৩৫ ধারায় সিকিউরিটি কাউন্সিলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পণ্ডিত জওরলাল নেহেরু অভিযোগ দায়ের করে কাশ্মীর ইস্যুকে হিন্দুস্থানের বাইরে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ১৯৪৮ সালের ১৩ই আগস্ট জাতিসংঘের গৃহীত গণভোটের প্রস্তাবটি এবং অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে জাতিসংঘের সাম্প্রতিক বৈঠক প্রমাণ করেছে যে, কাশ্মীর ইস্যুটি কোন বিধানেই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়।নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ব্রিটিশ সরকারের শেষ ভাইসরয়, ভারতের প্রথম গভর্নর জেনারেল ও ভারত-পাকিস্তান বাহিনীর সর্বাধিনায়ক এমিরাল লর্ড মাউন্ট ব্যাটনের সক্রিয় তত্ত্বাবধানে ভারতীয় সেনাবাহিনী কাশ্মীর দখল করার পর থেকে স্থানীয় ৭৮ শতাংশ মুসলিম জনগোষ্ঠী স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন শুরু করে। বিগত ৭২ বছর ধরে ভারতের সেনাবাহিনী তাদের স্বাধীনতার দাবীকে দমন করতে অধিকৃত কাশ্মীরকে কার্যত দাবিয়ে রেখেছে।
কাশ্মীর দখল করার পরই ১৯৪৭ সালের ২রা নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নেহেরু বেতার ভাষণে কাশ্মীরের জনগণই কাশ্মীরের ভাগ্য নির্ধারণ করবে বলে যে ঘোষণা দিয়েছিলেন তা ছিল নিছক একটি রাজনৈতিক প্রতারণা। কাশ্মীরের জনগণ তাদের ভাগ্য নির্ধারণের সুযোগ আজো পায়নি। উপরোক্ত জাতিসংঘের গণভোটের প্রস্তাবটি অগ্রাহ্য করে সম্প্রতি দিল্লীর হিন্দুত্ববাদী সরকার কাশ্মীরের জন্য বিশেষ সুবিধাযুক্ত ৩৭০ধারা সংবিধান থেকে বাদ দিয়ে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীর ভূখণ্ডে জাতিগত নিধনের পথকে সম্প্রসারিত করেছে। এই সকল ঐতিহাসিক তথ্যাবলী অবগত থাকার পরও যারা কাশ্মীর ইস্যুকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলছেন তারা কাশ্মীরী জনগণের স্বাধীনতার বিপক্ষে অথবা দিল্লীর তাবেদার উল্লেখ করে মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দ স্বাধীনতার মূল্যবোধে বিশ্বাসী বিশ্ববাসীকে কাশ্মীরের জনগণের স্বাধীনতার দাবীর পক্ষে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।
আজ বেলা ১১টায় বাংলাদেশ মুসলিম লীগের উদ্যোগে দলের পল্টনস্থ প্রধান কার্যালয়ে দলের নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদারের সভাপতিত্বে আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত মন্তব্য করেন। আরও উপস্থিত ছিলেন, স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য আতিকুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, অতিঃ মহাসচিব আকবর হোসেন পাঠান, কাজী এ.এ কাফী, সাংগঠনিক সম্পাদক খান আসাদ, কেন্দ্রীয় নেতা খোন্দকার জিল্লুর রহমান, শেখ এ সবুর, শহুদুল হক ভূঁইয়া, এ্যড. হাবিবুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার ওসমান গনী, আব্দুল খালেক, ইউসুফ হোসেন তালুকদার, আবুল কাসেম হাওলাদার, এ্যাড. আবু সাঈদ মোল্লা, আবদুল আলিম, মামুনুর রশীদ প্রমুখ।
সংবাদ প্রেরক -কাজী এ.এ কাফী, অতি: মহাসচিব