চামড়া বাজারে নৈরাজ্য গরীব ও এতিমের পেটে লাথি: আইএবি

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, চামড়ার বাজারে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে দাম বিপর্যয়ের মাধ্যমে যারা গরীব ও এতিমের হক নষ্ট করেছে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। তিনি বলেন, সিন্ডিকেটে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্ষতিপুরণ দিতে হবে। দেশে রপ্তানীমূখী বড় শিল্প পাট, চা, চামড়া এই তিনটি শিল্পকেই ধ্বংস করা হয়েছে। চামড়া শিল্প ধ্বংসে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী মন্ত্রণালয় অপরকে দোষারোপ করে দায়ভার এড়াতে চাচ্ছে। কিন্তু সরকার এর দায়ভার কোনক্রমেই এড়াতে পারবে না। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদেরকে পদত্যাগ করলেই হবে না, তিনি দেশের সঙ্কট নিরসনে সরকারকে পদত্যাগ করে নতুন নির্বাচন দেয়ার দাবি জানান।
আজ বিকেলে চামড়া শিল্প ধ্বংসের প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দলের ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম,কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, সহ-প্রচার সম্পাদক মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, এডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, নগর সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন, আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, ডা. শহিদুল ইসলাম, যুবনেতা আজিজুল হক, মুফতী ফরিদুল ইসলাম, মুহা. ফজলুল হক মৃধা প্রমূখ।
মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, চামড়া বিপর্যয়ে সরকারের চরম উদাসীনতা দায়ী। এতবড় বিপর্যয় হয়ে গেলো, সরকারের পক্ষ থেকে এর কোন সঠিক ব্যাখাও দিতে পারেনি।
তিনি বলেন, লুটপাটের কারণে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলোতে চরম অর্থং সঙ্কট চলছে। যে কারণে, ট্যানারী মালিকরা এবার ব্যাংক থেকে কার্যতঃ কোন টাকা পায়নি। লোন যা বরাদ্দ করা হয়েছিল তা সমন্বয় করা হয়েছে। ফলে আড়ৎদার ও প্রান্তিক ব্যবসায়ীরা চামড়া কিনতে পারেনি। গরীব, দুঃখী ও এতিমদের হক নষ্ট হয়েছে। সরকার-এর ভেতরের একটি মহল সিন্ডিকেট করে কওমী মাদরাসাকে ধ্বংস করছে এবং চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করে নিজেরা ফায়দা লুটছে।
মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, সরকার চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করে এতিম ও গরীকের পেটে লাথি মেরেছে। এজন্য সরকারকে তার মাশুল গুনতে হবে। তিনি বলেন, চামড়া বিপর্যয়ের ফলে দেশ অর্থনৈতিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হলো।
সভাপতির বক্তব্যে প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, ধানের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে কৃষকরা ক্ষোভে পাকা ধানক্ষেতে আগুন দিয়েছে। পাট শিল্প ধ্বংস করে এখন চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করছে। এর চেয়ে সরকারের লজ্জা কী হতে পারে। – প্রেস বিজ্ঞপতি